সংক্ষিপ্ত
পাকগিস্তানি নাগরিকরা অভিযানের সময় গ্রেফতার এড়াতে ATS আধিকারিকদের থেকে বেশি জোরে নৌকা চালায়। পাশাপাশি নৌকা থেকে পাল্টা গুলি চালায়।
গুজরাট উপকূল এলাকা থেকে ১৪ জন পাকিস্তানি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৮৬ কিলোগ্রাম মাদক দ্রব্য। যার বাজারমূল্য প্রায় ৬০২ কোটি টাকা। গোপনসূত্রে খবর পেয়ে রবিবার যৌথ অভিযান চালিয়েছিল সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড (ATS) ও মাদকগ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো (NCB)। গুজরাট উপকূল থেকেই এদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
পাকগিস্তানি নাগরিকরা অভিযানের সময় গ্রেফতার এড়াতে ATS আধিকারিকদের থেকে বেশি জোরে নৌকা চালায়। পাশাপাশি নৌকা থেকে পাল্টা গুলি চালায়। তারপই তাদের সন্দেহভাজন সন্দেহে ১৪জন পাক-নাগরিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। নিরাপত্তা সংস্থাগুলি দুই দিন ধরে আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে তাল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। ভারতীয় জলসীমার মধ্যেই এই তল্লাশি অভিযান চলছিল। সূত্রের খবর পাকিস্তানের নাগরিকরা ভারতীয় জলসীমা লঙ্ঘন করে এই দেশের মধ্যে ঢুকেছিল।
এনসিবি গুজরাট ও রাজস্থানের ম্যাও মিউ নামে পরিস্থিতি নিষিদ্ধ ড্রাগ মেফেড্রোন তৈরির তিনটে ল্যাবকে ধ্বংস করার ঠিক এক দিন পরেই উপকূল থেকে গ্রেফতার হয়েছে ১৪ পাক নাগরিককে। নিষিদ্ধ ড্রাগ মেফেড্রোন তৈরির তিনটে ল্যাবকে ধ্বংসের ঘটনায় যুক্ত সন্দেহে এখনও পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মাদকবিরোধী সংস্থা প্রায় ৩০০ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য বাজেয়াপ্ত করেছে।
গুজরাট পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াড গুজরাট ও রাজস্থান পরিচালিত ল্যাবগুলি ড্রাগ মেফেড্রোন তৈরির বিষয়ে একটি গোপন সূত্রে খবর পেয়েই অভিযান শুরু করেছিল। তাতেই পাওয়া যায় সাফল্য। মাদক পাচার ও মাদক ব্যবস্থা রুখতে বর্তমানে যথেষ্ট সক্রিয় রয়েছে প্রশাসন। কিন্তু পাকিস্তান এই দেশকে অশান্ত করার বারবার চেষ্টা করেই যায়। ভোটের মধ্যেও তেমনই সমস্যা তৈরি করতে চাইছে বলেও মনে করছে প্রশাসন।