সংক্ষিপ্ত

মোহতাব চকের কাছে অসুস্থ বাবাকে একা রিকশভ্যানে বসিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেল ১৪ বছরের কিশোরী। গত ২৬ অক্টোবর এমনই খবর সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

সংবাদমাধ্যমের দৌলতে কত খবরই তো সামনে আসে। মেয়েদের জয়ের খবর, মেয়েদের এগিয়ে যাওয়ার খবর, মেয়েদের সাফল্যের খবর। কিন্তু প্রান্তিক ভারতের ছবিটা কতটা বদলেছে! একটু কান পাতুন। রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, বিহার - এরকম একের পর এক রাজ্যের প্রান্তিক মানুষদের কাছে আজও কন্যা সন্তান বোঝা। ফল- অকালে হারিয়ে যায় পৃথিবীর আলো না দেখা কন্যাভ্রূণ। এটা এই প্রতিবদন বলছে না। বলছে জাতীয় মহিলা কমিশনের রিপোর্ট। তবে তারই মাঝে প্রান্তিক মানুষদের কাছ থেকে যদি মেলে কোনও মেয়ের জীবন জয়ের কাহিনী, তবে মনে হয় ভোর বোধহয় খুব দূরে নয়।

ওডিশার ভদ্রক। ছোট্ট জনপদ। নাগরিক জীবনের যাবতীয় সুবিধাই সেখানে রয়েছে। তবে যেখানকার খবর এখন দেব, সেখান থেকে জেলা সদর হাসপাতাল ৩৫ কিমি দূরে। সেই মোহতাব চকের কাছে অসুস্থ বাবাকে একা রিকশভ্যানে বসিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেল ১৪ বছরের কিশোরী। গত ২৬ অক্টোবর এমনই খবর সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাটি আসলে ২৩শে অক্টোবরের। নদীগান গ্রামের বাসিন্দা সুজাতা শেঠি তার বাবাকে রিকশ ভ্যানে চাপিয়ে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। নিজে প্যাডেল করে বাবার চিকিৎসা করাতে নিয়ে যায় সে।

 

 

প্রথমে গ্রাম থেকে ১৪ কিমি দূরে ধামনগর হাসপাতালে নিয়ে যায় সুজাতা। সেখান থেকে চিকিৎসকরা তাঁর বাবাকে স্থানান্তরিত করতে বলেন জেলা সদর হাসপাতালে। আরও ৩৫ কিমি প্যাডেল করে বাবাকে নিয়ে সেখানে পৌঁছয় সে। শুরু হয় চিকিৎসা। সুজাতা বলেছেন, ভদ্রক জেলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে বাড়িতে ফিরে যাওয়ার এবং অস্ত্রোপচারের জন্য এক সপ্তাহ পরে ফিরে আসার পরামর্শ দিয়েছেন।

সুজাতার জন্মের সময় কি মনখারাপ হয়েছিল তার বাবার, সে খবরের হদিশ দিতে পারেনি কোনও সংবাদ মাধ্যম। যদি মন খারাপ হয়ে থাকে, তবে আজ হয়ত সেই খারাপ লাগা কাটিয়ে ওঠার দিন। আর যদি সুজাতার জন্মে তিনি খুশি হন, তবে আজ তাঁর গর্ব বোধ করার কথা। আর পাঁচটা ছেলে সন্তানের মতই নিজেকে প্রমাণ করে দিয়েছে সুজাতা।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন নীচের লিংকে

https://www.whatsapp.com/channel/0029Va9a73wK0IBjbT91jj2D