সংক্ষিপ্ত

খারাপ আবহাওয়া থাকায় বৃহস্পতিবার বন্ধ করে দেওয়া হয় নিখোঁজদের সন্ধানকাজ। শুক্রবার ফের সকাল থেকে উদ্ধারকাজ শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে। এরই মধ্যে জানা গিয়েছে চৌঠা অক্টোবর ৪টি দেহ উদ্ধার হয়েছে ও ছয়ই অক্টোবর উদ্ধার হয়েছে ১২টি দেহ। ফলে মোট ১৬ জন এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন বলে খবর

উত্তরকাশীতে "দ্রৌপদী কি  ডান্ডা -২" অভিযানের জন্য নেহেরু ইনস্টিটিউট অফ মাউন্টেনিয়ারিং এর ৪১ জনের একটি দল। এই দলে ছিলেন ৯ জন প্রশিক্ষক ও বাকিরা অভিযাত্রী। জানা গেছে অভিযাত্রীরা  দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, পশ্চিমবঙ্গ, তেলেঙ্গানা, গুজরাট, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, আসাম ও হরিয়ানার বাসিন্দা। তুষারধসে তাঁরা আটকে পড়েন। ঘটনার আকস্মিকতা সামলাতে না পেরে মৃত্যু হয় ১৬ জনের। রেসকিউ বুলেটিন প্রকাশ করে উদ্ধারকাজ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিল  নেহেরু ইনস্টিটিউট অফ মাউন্টেনিয়ারিং। 

শোনা যায় "দ্রৌপদী কি  ডান্ডা -২" শৃঙ্গটি ৫৬৭০ মিটার উঁচু। এই অঞ্চলটি প্রচন্ড দুর্ঘটনাপ্রবণ অঞ্চল বলেও পরিচিতি। আর এই অঞ্চলের পাহাড়ি ঢালগুলি খাড়া হাওয়ায় ঢালের গা বেয়েই তুষারের স্তুপ ধ্বসেই প্রবল তুষারধ্বস নেমেছিল বলে বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি। নিখোঁজদের সন্ধান পেতে মরিয়া উত্তরপ্রদেশের উদ্ধারকারী দল। স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এসডিআরএফ), ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এনডিআরএফ), ইন্দো-তিব্বত বর্ডার পুলিশ (আইটিবিপি) এবং ভারতীয় বিমান বাহিনী (আইএএফ) হেলিকপ্টার নিয়ে খোঁজ চালায়।

তবে খারাপ আবহাওয়া থাকায় বৃহস্পতিবার বন্ধ করে দেওয়া হয় নিখোঁজদের সন্ধানকাজ। শুক্রবার ফের সকাল থেকে উদ্ধারকাজ শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে। এরই মধ্যে জানা গিয়েছে চৌঠা অক্টোবর ৪টি দেহ উদ্ধার হয়েছে ও ছয়ই অক্টোবর উদ্ধার হয়েছে ১২টি দেহ। ফলে মোট ১৬ জন এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন বলে খবর। এরমধ্যে ২জন প্রশিক্ষক ও ১৪ জন প্রশিক্ষণরত অভিযাত্রী ছিলেন। 

এই দলে স্থানীয় কিছু মালবাহকও ছিলেন বলে উত্তরপ্রদেশ সরকার সূত্রে খবর। যে চারজনের দেহ উদ্ধার হয়েছে তার মধ্যে ছিলেন এভারেস্টজয়ী তথা নিমের প্রধান সবিতা কাঁসওয়াল ছন্দ গায়েনের পর ইনিই দ্বিতীয় মহিলা এভারেস্টজয়ী যার মৃত্যু হলো হিমালয় দুর্ঘটনায়। এভারেস্টজয়ী সবিতা কাঁসওয়াল  উত্তরকাশীর  লংথ্রু গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। 

উত্তরকাশীতে  কিছুদিন আগেও তুষারধসে মৃত্যু হয়েছিল  ১০ জনের।  তার দুদিন পর আবার এমন দুর্ঘটনায় নড়েচড়ে বসছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। ট্রেকিং এর অনুমোদন দেয়ার আগে কড়া নিরাপত্তা বলয় তৈরির কথা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন তারা। দুর্গম ও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে আর কোনো অভিযাত্রিকে যাতে এইভাবে প্রাণ হারাতে না হয় সে বিষয়টিতেও নজর দেবেন তারা। 

রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ এবং ভারতীয় বিমান বাহিনী নিখোঁজ পর্বতারোহীদের সনাক্ত করতে একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করছে। খারাপ আবহাওয়ার কারণে বিকেল চারটের দিকে অভিযান বন্ধ করে দেয় দলটি। ইতিমধ্যে ভারতীয় সেনাবাহিনী দক্ষ পর্বতারোহীদের দল পাঠিয়েছে। ভারতীয় বায়ুসেনা অভিযানের জন্য সারসাওয়া থেকে দুটি এবং বেরেলি থেকে একটি হেলিকপ্টার মোতায়েন করেছে।