সংক্ষিপ্ত

গোয়েন্দা সংস্থা এবং কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের যৌথ প্রচেষ্টায়, এই ২০টি ইউটিউব চ্যানেল ও দুটি ওয়েবসাইট নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দেশের তথ্য ও প্রযুক্তি বিধি, ২০২১ -এর ১৬ নম্বর বিধি অনুযায়ী জরুরিকালীন ক্ষমতা প্রয়োগ করে এই সাইট ও চ্যানেলগুলি নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। 

ভারতের (India) বিরুদ্ধে বড়সড় চক্রান্ত করছিল পাকিস্তান (Pakistan)। সূত্র থেকে খবর পেয়ে সেই চক্রান্ত বানচাল করে দিল দিল্লি (Delhi)। পাকিস্তানি মদতপুষ্ট ভুয়ো খবরের (Fake News) নেটওয়ার্ক (Network) নিষিদ্ধ (Banned) করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক (Central Ministry of Information and Broadcasting)। সেই তালিকায় রয়েছে ২০টি ইউটিউব চ্যানেল (Youtube Channels) এবং দুটি ওয়েবসাইট (Website)। এগুলির মাধ্যমে ভারতের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রচার চালানো হত বলে অভিযোগ উঠেছে।

গোয়েন্দা সংস্থা এবং কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের যৌথ প্রচেষ্টায়, এই ২০টি ইউটিউব চ্যানেল ও দুটি ওয়েবসাইট নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দেশের তথ্য ও প্রযুক্তি বিধি, ২০২১ -এর ১৬ নম্বর বিধি অনুযায়ী জরুরিকালীন ক্ষমতা প্রয়োগ করে এই সাইট ও চ্যানেলগুলি নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভারত বিরোধী প্রচার এবং ভুয়ো খবর ছড়ানোর অভিযোগে ভারতে ওই সাইট ও চ্যানেলগুলিকে নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুটি পৃথক নির্দেশিকায় ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারীদের ওই ২০ টি ইউটিউব চ্যানেল এবং দুটি ওয়েবসাইট ব্লক করার জন্য টেলিকম বিভাগকে বলা হয়েছে। 

 

 

কী কাজ করত এই চ্যানেল ও সাইটগুলি? 
পাকিস্তানের মদতপুষ্ট এইসব ইউটিউব চ্যানেল ও ওয়েবসাইটের কাজ ছিল ভারতের বিরুদ্ধে প্রচার করা ও ছবি পোস্ট করা। এদের ভিউয়ার্স ছিল সাধারণত ভারতীয়রাই। ভারতের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশগুলোর সম্পর্ক, ভারতের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত চুক্তি, আর্টিকেল ৩৭০, অযোধ্যার রাম মন্দির, বিপিন রাওয়াত, এমনকী নির্বাচন সংক্রান্ত একাধিক ভুয়ো তথ্য এই সাইট ও চ্যানেলগুলিতে তুলে ধরা হত। সেগুলি সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের নজরে আসে। তারপরই সেগুলিকে নিষিদ্ধ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। পাকিস্তানের তরফে সরাসরি এগুলিতে মদত দেওয়া হত বলে অভিযোগ। 

এর সঙ্গে যুক্ত ছিল ভারত-বিরোধী বিভ্রান্তিমূলক প্রচারের সঙ্গে জড়িত দ্য নয়া পাকিস্তান গ্রুপ (এনপিজি)। পাকিস্তান থেকে তারাই গোটা বিষয়টি পরিচালনা করত। তবে শুধুমাত্র যে এনপিজির সঙ্গে সম্পর্কিত ইউটিউব চ্যানেলকেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে তা একেবারেই নয়। এনপিজির সঙ্গে কোনও যুক্ত নয় এমন স্বতন্ত্র কিছু চ্যানেলও রয়েছে নিষিদ্ধ তালিকায়। সব মিলিয়ে এই চ্যানেলগুলির সাবস্ক্রাইবার ছিল ৩৫ লাখেরও বেশি। আর এই ইউটিউবের ভিডিওগুলিতে ভিউয়ার্স ছাড়িয়েছে ৫৫ কোটিরও বেশি। মূলত ভারত বিরোধী মতামত প্রচারের জন্যই এগুলিকে ব্যবহার করা হত বলে গোয়েন্দাদের তরফে জানানো হয়েছে। 

তবে এগুলি ছাড়াও আগামী দিনে আরও অনেক সাইট ও চ্যানেল নিষিদ্ধ করা হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ভারত একটা বড় সংখ্যক পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেল এবং ওয়েবসাইটকে নিষিদ্ধ ব্যান ঘোষণা করতে পারে। আর এর আগে প্রায় সাড়ে তিন হাজার চাইনিজ টুইটার অ্যাকাউন্ট ভারতে নিষিদ্ধ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার।