সংক্ষিপ্ত
কেন্দ্রীয় সরকারের সরকারি সূত্রের খবর, রাজনীতিবিদদের এই উদ্বেগ ন্যায্য। আজকাল এমন ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যাচ্ছে। আগে এ ধরনের ক্ষেত্রে বিশেষ প্রযুক্তিগত জ্ঞান অর্জন করতে হতো। এর পরেই একজন ব্যক্তি অন্য কারও ছবির সাথে টেম্পার করতে পারে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বিশ্বব্যাপী আলোচনা চলছে। কেউ এর সুবিধা দেখছেন আবার কেউ বলছেন এর অসুবিধা। ভারতের রাজনীতিবিদরা এর বিপদ দেখতে শুরু করেছেন। দেশের অনেক রাজনীতিবিদ এই নতুন প্রযুক্তি নিয়ে চিন্তিত, কারণ এটি ডিজিটাল মিডিয়াতে সহজেই মিথ্যা ছড়াতে পারে। বিভিন্ন দলের সাংসদরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে জানতে চেয়েছেন যে বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থা 'ডিপ ফেক'-এর ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকার কি নির্বাচনে এই ইস্যুর বিপদ সম্পর্কে সচেতন? রাজনীতিবিদরা ভয় পাচ্ছেন যে এই ডিপ ফেক ২০২৪ সালের নির্বাচনী প্রচারে তাদের গলায় ফাঁস হয়ে যেতে পারে। নির্বাচনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে মুখ পরিবর্তনের হুমকি তাদের রাতের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে।
সরকার কি নির্বাচনে 'ডিপ ফেক' বিপদ সম্পর্কে সচেতন?
রাজ্যসভার সাংসদ দিগ্বিজয় সিং, প্রমোদ তিওয়ারি, প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী, ডক্টর এল হনুমন্থায়, ডক্টর অমি ইয়াগনিক এবং রঞ্জিত রঞ্জন বর্ষা অধিবেশনে 'ডিপ ফেক' প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছিলেন। তাঁরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে দেশে 'ডিপ ফেক' ঘটনা ঘটছে সে সম্পর্কে সরকার সচেতন কিনা। 'ডিপ ফেক'-র ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে বিভিন্ন সংস্থা কী ব্যবস্থা নিয়েছে। সরকার কি নির্বাচনে 'গভীর জাল' বিপদ সম্পর্কে সচেতন? 'ডিপ ফেক' শনাক্ত করতে সরকার কি ব্যবস্থা নিয়েছে। এটা করার জন্য কি ধরনের এজেন্সি নিয়োগ করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের সরকারি সূত্রের খবর, রাজনীতিবিদদের এই উদ্বেগ ন্যায্য। আজকাল এমন ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যাচ্ছে। আগে এ ধরনের ক্ষেত্রে বিশেষ প্রযুক্তিগত জ্ঞান অর্জন করতে হতো। এর পরেই একজন ব্যক্তি অন্য কারও ছবির সাথে টেম্পার করতে পারে। এখন 'কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা' সব মানুষকে এই সুযোগ দিয়েছে। এই মাধ্যমে যেসব তথ্য ছড়ানো হয়, তার ভিত্তি ভুয়া হলেও তাৎক্ষণিকভাবে ব্যাপক ক্ষতি সাধনের জন্য সেগুলোই যথেষ্ট। সেই ক্ষতি একটি উপদ্রব আকারে হতে পারে, নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করে একজন বড় রাজনীতিকের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে। বৈশ্বিক নেতাদের মুখ দিয়ে কোনো ভুয়া ভিডিও ভাইরাল হলে দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি হতে পারে। 'ডিপ ফেক'-এর মাধ্যমে ভুল তথ্য ও গুজব ছড়ানো হয়। 'ডিপ ফেক' সন্ত্রাসবাদী এবং চরমপন্থী সংগঠন বা সাইবার হ্যাকারদের দ্বারা অপব্যবহার করা হয়। 'ডিপ ফেক'-এ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে ডিজিটাল মিডিয়া ম্যানিপুলেট করা হয়। অডিও, ভিডিও বা ছবিতে মুখ পরিবর্তন করা হয়।
পর্নোগ্রাফি 'ডিপ ফেক' এর সবচেয়ে বড় ঝুঁকি
নির্বাচনে এর বেশি ব্যবহার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, তাতে মানুষের সত্য ভাবার বা চেনার সময় নেই। চলছে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের ধারা। অনেক সময় বড় নেতা, দল বা অন্য কোনো সেলিব্রেটির ক্ষতি করতে 'ডিপ ফেক'-এর সাহায্য নেওয়া হয়। ভিডিও, ফটো টেক্সট, এবং ভয়েস সব পরিবর্তন করা যেতে পারে। এর মাধ্যমে মিথ্যা প্রমাণও প্রস্তুত করা যায়। 'ডিপ ফেক'-এর সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হল পর্নোগ্রাফি। মুখ পরিবর্তন করে পর্নোগ্রাফিক ওয়েবসাইটে কন্টেন্ট রাখা যেতে পারে। এর মাধ্যমে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা চলতে পারে।