সংক্ষিপ্ত
- ঘাটতি সামলাতে অক্সিজেন বন্ধের মক ড্রিল
- ৫ মিনিটের জন্য হাসপাতালে অক্সিজেনের জোগান বন্ধ করা হয়
- প্রাণ হারিয়েছেন ২২ জন রোগী
- এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ আগ্রা প্রশাসনের
‘মক ড্রিল’-এর অংশ হিসেবে মাত্র পাঁচ মিনিটের জন্য হাসপাতালে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল অক্সিজেনের জোগান। অভিযোগ, আর তার জেরেই প্রাণ হারিয়েছেন ২২ জন রোগী। আগ্রার একটি বেসরকারি হাসপাতালের ঘটনা। একটি ভাইরাল ভিডিয়োতে (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি এশিয়ানেট নিউজ বাংলা) তেমনটাই দাবি করেছেন হাসপাতালের মালিক। আর ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর তা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে যোগী রাজ্যে। ইতিমধ্যেই হাসপাতালটিকে প্রশাসনের তরফে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেই ভিডিয়োর প্রেক্ষিতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আগ্রার জেলা প্রশাসন।
ওই ভিডিয়োতে হাসপাতালের মালিক অরিঞ্জয় জৈনের কথোপকথন প্রকাশ পেয়েছে। যা ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিয়োতে তিনি বলেন, "উত্তরপ্রদেশ জুড়ে অক্সিজেনের আকাল। মোদীনগরেও অক্সিজেন নেই। আমরা রোগীদের বাড়িতে নিয়ে যেতে বলেছিলাম। কিন্তু, কোনও পরিবার রাজি হয়নি। তো তারপর আমি বললাম, চলো একটা ভুয়ো মহড়া করি। কারা মরে আর কারা বেঁচে যান, তা দেখা যাবে। এরপর ২৬ এপ্রিল সকাল ৭টার সময় পাঁচ মিনিটের জন্য অক্সিজেনের জোগান বন্ধ রেখেছিলাম। সঙ্গে সঙ্গে ২২জন রোগীর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। আর তাঁদের শরীর নীল হয়ে যায়। এর ফলে আমরা বুঝতে পারি যে তাঁরা অক্সিজেন ছাড়া কোনওমতেই বাঁচবেন না। তারপর বাকি ৭৪জন রোগীর পরিবারকে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে আসার পরামর্শ দিই।"
এই ঘটনার পর আগরার জেলাশাসক প্রভু এন সিংহ বলেন, "ওই হাসপাতালের আইসিইউ খুব বড়। ২৬ এপ্রিল সেখানে অক্সিজেনের অভাবে কেউ মারা যাননি। যাঁদের মৃত্যু হয়েছে তাঁরা অন্য কোনও কারণে মারা গিয়েছেন। ভিডিয়ো আমরা তদন্ত করে দেখব।"
এদিকে এই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই বিজেপি সরকারকে একহাত নেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি। টুইট করে তিনি লেখেন, "এই দুঃখের মুহূর্তে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি"। অন্যদিকে, ওই ভাইরাল ভিডিয়ো টুইটারে শেয়ার করেন প্রিয়াঙ্কা। লেখেন, "বিজেপি শাসনের অক্সিজেন এবং মানবতা উভয়েরই মারাত্মক ঘাটতি রয়েছে। এই বিপজ্জনক অপরাধের সঙ্গে যুক্ত দোষীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।"