সংক্ষিপ্ত

জাতীয় কংগ্রেসের ইতিহাসে অভূতপূর্ব ঘটনা

২৩ জন শীর্ষ নেতা চাইলেন ব্যাপক সংস্কার

চিঠি দিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী-কে

সরাসরি নাম না করলেও ঘুরিয়ে নিশানা গান্ধীদের

 

ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের শতাব্দী প্রাচীন ইতিহাসে এর আগে এমনটা কখনও দেখা যায়নি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, সাংসদ, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসহ দলের প্রায় ২৩ জন শীর্ষ নেতা চিঠি দিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী-কে। তাঁরা দলে 'ব্যাপক সংস্কার' করে দলের 'অবিরাম পতন' রোধ করার অনুরোধ জানিয়েছেন দলনেত্রীর কাছে। এক সর্বভারতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিববেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে চিঠিতে কংগ্রেস নেতারা বিজেপির দুর্দান্ত উত্থানের কথা উল্লেখ করে স্বীকার করে নিয়েছেন, দেশবাসী এখন নিরপেক্ষভাবে নরেন্দ্র মোদীর পক্ষে ভোট দিচ্ছে। এর পাশাপাশি কংগ্রেসের সমর্থনে দেখা গিয়েছে বিশাল ক্ষয়, যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ওই ২৩ জন শীর্ষ কংগ্রেস নেতা।  এই অবস্থায় দলের পুনরুত্থানের জন্য 'পুরো সময়ের এবং কার্যকরি নেতৃত্বের' দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। সেইসঙ্গে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ, কংগ্রেসের মধ্যে সমস্ত স্তরে নির্বাচন এবং রাজ্য শাখাগুলিকে ক্ষমতায়িত করার আশু প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

এই নেতারা চিঠিতে সরাসরি রাহুল গান্ধীর নাম করে সমালোচনা করেননি। কিন্তু, তাঁর আমদানি করা যুব কংগ্রেস এবং এনএসইউআই অর্থাৎ ছাত্র শাখায় নির্বাচনের কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। তাঁরা বলেছেন, এই নির্বাচন শুরু হওয়ার ফলে দলে 'বিরোধ ও বিভাজন' বেড়েছে। অন্যদিকে পুরো সময়ের নেতৃত্ব চাওয়া মানে সনিয়ার নেতৃত্বকেই প্রশ্ন করা। এই চিঠির প্রতিক্রিয়ায় কংগ্রেসে এখন একটা 'বড় সাংগঠনিক রদবদল' করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। সোমবারই কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির একটি অনলাইন বৈঠক হওয়ার কথা। সেই বৈঠকের পরই এই বিষয়ে কোনও বড় ঘোষণা করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

এই চিঠিতে স্বাক্ষরকারীরা হলেন কংগ্রেস সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আনন্দ শর্মা, কপিল সিবল, মণীশ তিওয়ারি, শশী থারুর, সাংসদ বিবেক তাংখা, এআইসিসি তথা ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য জিতিন প্রসাদ এবং মুকুল ওয়াসনিক, রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা গোলাম নবি আজাদ, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুডা, এম বীরাপ্পা মৈলি, রাজেন্দ্র কৌর ভট্টল, পৃথ্বীরাজ চভন, পিজে কুরিয়ান, রেণুকা চৌধুরী, এবং মিলিন্দ দেওড়া, প্রাক্তন রাজ্যসভাপতি রাজ বব্বর (উত্তরপ্রদেশ), অরবিন্দর সিং লাভলি (দিল্লি) এবং কৌল সিং ঠাকুর (হিমাচল); বিহারের বর্তমান প্রচার প্রধান অখিলেশ প্রসাদ সিং, হরিয়ানার প্রাক্তন স্পিকার কুলদীপ শর্মা; দিল্লির প্রাক্তন স্পিকার যোগানন্দ শাস্ত্রী এবং প্রাক্তন সাংসদ সন্দীপ দীক্ষিত।