সংক্ষিপ্ত

বিচারপতি ললিতের সরকারি বাসভবনে, ৪০ জনেরও বেশি সহকারী এবং সহায়ক কর্মীকে নিয়োগ করেছিলেন তিনি ,যা কিনা রাষ্ট্রপতির বাসভবন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ব্যতীত অন্য যেকোনো সাংবিধানিক পদধারীর বাসভবনের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।

 

একজন সাংবিধানিক পদাধিকারী হিসেবে বিচারপতি ইউ ইউ ললিতের জীবৎকাল ছিল নিতান্তই স্বল্প। মাত্র ৭৪ দিন তিনি ছিলেন ভারতবর্ষের সাংবিধানিক প্রধান। চলতি বছরের ২৭ সে আগস্ট থেকে ৮ ই নভেম্বর পর্যন্ত ছিল তার ক্রিয়াকাল। কিন্তু এর মধ্যেই তার বাসভবনে সর্বোচ্চ ৪০ জন কর্মী নিয়োগ করে রেকর্ড গড়েছেন তিনি।প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য ভারতের সাংবিধানিক প্রধানের বাসভবনে যেসমস্ত কর্মীরা পিয়ন এবং সহায়ক স্টাফ হিসেবে নিযুক্ত হন তারা প্রত্যেকেই সুপ্রিম কোর্টের বেতনভোগী। বাসভবনের সহায়ক কর্মীরা সরকারি বেতনভুক্ত হওয়ার জন্যই কি এমন যথেচ্ছ কর্মচারী নিয়োগের সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির ?

বিচারপতি ললিতের সরকারি বাসভবনে অর্থাৎ ১৯, আকবর রোড নয়াদিল্লিতে, ৪০ জনেরও বেশি সহকারী এবং সহায়ক কর্মীকে নিয়োগ করেছিলেন তিনি তার মেয়াদকালে। যা কিনা রাষ্ট্রপতির বাসভবন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ব্যতীত অন্য যেকোনো সাংবিধানিক পদধারীর বাসভবনের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। অবসর নেওয়ার পর তিনি কিছু কর্মী ছাঁটাই করলেও , বর্তমানে তার বাসভবনে সহায়ক কর্মীর সংখ্যা মোট ২৮ জন। যার মধ্যে আছে বিভিজি ইন্ডিয়ার বেশ কয়েকজন সদস্য সহ আরও অন্যান্যরা। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য বিভিজি হল এমন একটি কোম্পানি যা সুপ্রিম কোর্ট দ্বারা সরকারি বাসভবন পরিষ্কার এবং রক্ষণাবেক্ষনের জন্য চুক্তিবদ্ধ।

এর আগে পূর্বের প্রধান বিচারপতিদের বাসভবনে ১২ থেকে ১৫ জন সহায়ক কর্মী রক্ষনাবেক্ষনের জন্য নিয়োজিত থাকতো। অবসর নেওয়ার পর তারা গড়ে দুই থেকে তিনজন সহায়ক কর্মীদের রাখতো। কিন্তু বিচারপতি ললিত তার গৃহস্থালি ও আবাসিক অফিসের সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য ৪০ জনকে নিয়োগ করেন ,অবসরের পর সেটিই ২৮ এ গিয়ে ঠেকে। নিয়ম অনুযায়ী অবসরপ্রাপ্ত সিজেআইরা দিল্লিতে থাকলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারা তাদের সাপোর্ট স্টাফ প্রদান করা হয়। কিন্তু তারা অবসরের পর যদি নিজের রাজ্যে ফিরে যান তাহলে সেই রাজ্যের হাইকোর্ট দ্বারা এই সহায়ক কর্মীদের বেতন দেওয়া হয়।তবে বিচারপতি ললিতের এই ঘটনাটি সামনে আসে যখন শীতকালীন অধিবেশনে অবসরপ্রাপ্ত বিচারকদের জন্য উপলব্ধ সুবিধার তালিকা তৈরী করেছিলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরণ রিজিজু। প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির বাসভবনে এই কর্মীনিয়োগ নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পরে গেছে দেশে।