সংক্ষিপ্ত

গুগল ম্যাপের ভুল নির্দেশনার কারণে উত্তরপ্রদেশের বেরেলিতে একটি অসম্পূর্ণ সেতু থেকে গাড়ি পড়ে তিন ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। কুয়াশার মধ্যে সঠিক পথ খুঁজতে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। 

গুগল ম্যাপে ত্রুটির কারণে উত্তরপ্রদেশের বেরেলিতে একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। তিন ভাই, যারা গুগল ম্যাপের সাহায্য নিয়ে সঠিক রাস্তা খুঁজছিলেন, তাদের গাড়ি-সহ একটি অসম্পূর্ণ সেতু থেকে নিচে পড়ে ঘটে বিপত্তি। রবিবার ২৪ নভেম্বর ভোরে এই দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই তিনজনই মারা যান। তিন ভাই একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। সেতুটি অসম্পূর্ণ ছিল এবং সেখানে কোনও ব্যারিকেড বা সতর্কীকরণ বোর্ড ছিল না। নিহত তিনজনই একটি নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত এবং গুরুগ্রামে কাজ করতেন।

কুয়াশার কারণে সামনের পথ দেখা যাচ্ছিল না

ফরিদপুর থানার খাল্লাপুর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। বন্যায় সেতুর একাংশ ভেসে গেছে, যার কাজ এখনও চলছে। গুগল ম্যাপ এটি সঠিক পথ হিসাবে দেখিয়েছে। কুয়াশার কারণে গাড়ি চালানো যুবক কিছু দেখতে পাননি। গাড়িটি বালির ওপর ৫০ ফুট নিচে পড়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও পুলিশ মরদেহ বের করার সময় তিন যুবকের মৃতদেহ পান। রামগঙ্গা নদীর উপর এই সেতুটি দাতাগঞ্জ এবং ফরিদপুরকে সংযুক্ত করেছে।

দুর্ঘটনার পর গুগল ম্যাপে প্রশ্ন উঠছে

মৃতদের মধ্যে ময়নপুরীর কৌশল এবং ফারুখাবাদের বিবেক কুমার ও অমিত রয়েছে। এই সমস্ত যুবকরা গুগল ম্যাপের সাহায্যে রুট নেভিগেট করছিল। বিবেকের ভাই জানান, গুগল ভুল নির্দেশনা দিয়েছে, যার কারণে গাড়িটি অসম্পূর্ণ সেতুতে পৌঁছেছে। পরিবার বলছে, দুর্ঘটনার আগে যুবকদের কোনও বিপদের আশঙ্কা ছিল না। এই ঘটনার পর প্রশ্ন উঠছে গুগল ম্যাপ নিয়ে। একই সঙ্গে অসম্পূর্ণ সেতু নির্মাণের কোনও সতর্কীকরণ বোর্ড না থাকায় বা তথ্য না দেওয়ায় স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

স্থানীয় লোকজন সেতু কর্পোরেশনকে দায়ী করছেন

দুর্ঘটনার জন্য সেতু কর্পোরেশন ও প্রশাসনের অবহেলাকে দায়ী করেছেন স্থানীয় লোকজন। গ্রামবাসীরা বলছেন, সেতুতে কোনও ব্যারিকেড বা সতর্কীকরণ বোর্ড ছিল না। নির্মাণাধীন সেতু দিয়ে যাতায়াতকারী চালকদের জন্য কোনও নির্দেশনা ছিল না। যদি সময় মতো ব্যারিকেডিং করা যেত, তাহলে হয়তো এই দুর্ঘটনা এড়ানো যেত। প্রশাসন বিষয়টি তদন্ত শুরু করলেও এই অবহেলা কেড়ে নিয়েছে তিনজনের প্রাণ।