সংক্ষিপ্ত

  • জম্মু ও কাশ্মীরে সেনা সংঘর্ষে নিহত তিন হিজবুল জঙ্গি।
  • তারা সোপিয়ান এলাকায় স্থানীয়দের কাছে আশ্রয় ও খাদ্য চেয়েছিল।
  • খবর পেয়ে নিরাপত্তা বাহিনী তাদের ঘিরে ফেলে।
  • নিহত জঙ্গিদের মধ্য়ে একজন প্রাক্তন পুলিশকর্তা।

 

সোমবার জম্মু ও কাশ্মীরের শোপিয়ান জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে তিনজন হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। তবে তার থেকেও বড় কথা মৃত জঙ্গিদের মধ্য়ে ফের প্রাক্তন পুলিশকর্তার লাশ মিলেছে বলে জানিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। এক পুলিশকর্তা জানিয়েছেন, শোপিয়ানে সন্ত্রাসবাদীদের উপস্থিতির খবর পেয়ে সুরক্ষা বাহিনী জেলার ওয়াচি এলাকায় একটি গ্রাম গিরে ফেলে চিরুনিতল্লাশি শুরু করেছিল।

ওই কর্তা আরও জানান, তল্লাশি চালাতে গিয়ে একটি বাড়িতে সন্ত্রাসবাদীদের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। মেগাফোনে তাদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। কিন্তু জবাবে, তারা নিরাপত্তা বাহিনী-কে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে। পাল্টা গুলিতে জবাব দিতে শুরু করে সেনাও। তাতেই ওই তিন হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গির মৃত্যু হয়।

জানা গিয়েছে এই তিন হিজবুল সন্ত্রাসবাদীর মধ্যে একজন হল আদিল আহমদ নামে একজন প্রাক্তন পুলিশকর্তা। ২০১৮ সালেই অবশ্য তিনি পুলিশের চাকরি ছেড়ে দিয়েছিল। শ্রীনগরের জওহর নগর এলাকা থেকে তৎকালীন বিধায়ক ওয়াচি আইজাজ আহমদ মিরের সরকারী বাসভবন থেকে সাতটি একে অ্যাসল্ট রাইফেল নিয়ে সে পালিয়ে যায়। ডিএসপি দেবিন্দর সিং-এর পর আরও এক পুলিশ কর্তার জঙ্গি বাহিনীর সঙ্গে মৃত্যুতে উপত্যকায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অপর দুই সন্ত্রাসবাদীর পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তাদের সনাক্ত করার কাজ চলছে।

মেজর জেনারেল অনিন্দ্য সেনগুপ্ত এদিনের অভিযান নিয়ে বলেছেন, ওই তিন সন্ত্রাসবাদী ওয়াচি ও তার আশেপাশের গ্রামে স্থানীয়দের কাছ থেকে খাবার ও আশ্রয় চাইছিল। কয়েকজন জওয়ানরা তাদের গতিবিধির উপর নজর রেখেছিল। সোমবার সকালে তারা সন্ত্রাসীবাদীদের চিহ্নিত করে, এবং তাদের নির্মূল করে। এতে একজনও নাগরিক হতাহত হননি, বা সম্পদেরও ক্ষতি হয়নি।