সংক্ষিপ্ত
- মৃত্যু যে কার কখন কীভাবে আসে, তা বলা সত্যিই খুব মুশকিল
- ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিল্লির সরাই রোহিল্লাতে
- এক ৬০ বছরের বৃদ্ধ নিজের বাড়ির বাইরে একটি ঠেলাগাড়ির ওপরে ঘুমিয়ে ছিলেন
- আচমকাই একটি তিনতলা বাড়ির ছাদ থেকে ওই বৃদ্ধের ওপর পড়ে গেলেন এক ব্যক্তি
মৃত্যু যে কার কখন কীভাবে আসে, তা বলা সত্যিই খুব মুশকিল। যেমন এই বৃদ্ধ কী কখনও ভেবেছিলেন যে, মৃত্যুকালে তাঁর পরিণতি কী হতে চলেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিল্লির সরাই রোহিল্লাতে। সেখানকার এক ৬০ বছরের বৃদ্ধ নিজের বাড়ির বাইরে একটি ঠেলাগাড়ির ওপরে ঘুমিয়ে ছিলেন। আচমকাই তার লাগোয়া একটি তিনতলা বাড়ির ছাদ থেকে ওই বৃদ্ধের ওপর পড়ে গেলেন এক ব্যক্তি।
রবিন্দর নামে ওই ব্যক্তি অত্যন্ত স্থূলকায় এবং তাঁর ওজন ৯০ কেজির মতো। তিনি যেভাবে পড়ে গিয়েছেলেন তাঁতে তাঁর মারাত্মক রকমের কোনও ক্ষতি হয়ে যেতে পারত, এমনকী তিনি প্রাণেও মারা যেতে পারতেন। কিন্তু যা হল তা অত্যন্ত বিস্ময়কর। রবিন্দরবাবুর এতে সামান্যই চোট লেগেছে। কিন্তু তিনি যে ব্যক্তির ওপর পড়লেন সেই ষাট বছরের বৃদ্ধ মারা গিয়েছেন।
পুলিশকে দেওয়া বয়ানে রবিন্দর জানিয়েছেন যে, রাত্রিবেলা ছাদের ধারা দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছিলেন তিনি। আচমকাই পা পিছলে নীটে ঠেলাগাড়ির ওপর শুয়ে থাকা এক বৃদ্ধের ওপর পড়ে যান তিনি। জানা গিয়েছে মৃত বৃদ্ধের নাম মদন লাল। দুর্ঘটনার পর তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁর অটোপসি রিপোর্ট বলছে আচমকা প্রবল চাপে তাঁর পাঁজরের হাড় ভেঙে গিয়েছে এবং তার ফলে একাধিক ইন্টারনাল অর্গান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর সেই কারণেই ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।