সংক্ষিপ্ত
- শীর্ষ আদালতে সোমবার শবরীমালা মামলার শুনানি
- নয় সদস্য়ের বৃহত্তর সাংবিধানিক বেঞ্চ শুনবে এই মামলা
- গতবছর পাঁচ সদস্য়ের বেঞ্চে কার্যত ঝুলে থাকে মামলার ভাগ্য
- সংবিধানের ২৫ ও ২৬ ধারার মধ্য়ে সংঘাত খতিয়ে দেখবে বেঞ্চ
শবরীমালা মন্দিরে সব বয়সের মহিলাদের প্রবেশের প্রশ্নটি গত বছর কার্যত ঝুলে রয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। নয় বিচারপতির বৃহত্তর সাংবিধানিক বেঞ্চের ওপরেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল শবরীমালার ভাগ্য। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে সাংবিধানিক বেঞ্চে শুরু হতে চলেছে এই মামলার শুনানি। বিশ্বাস বনাম অধিকারের লড়াইয়ে শেষ অবধি কে এগিয়ে থাকে, এই বেঞ্চ তা নির্ধারণ করবে সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর।
শবরীমালায় আয়াপ্পা মন্দিরে সব বয়সি মহিলাদের প্রবেশের পক্ষেই প্রাথমিকভাবে রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। পরে তা নিয়ে বিস্তর হইচই হওয়াতে আবারও মামলাটি নিয়ে বসে শীর্ষ আদালতের পাঁচ সদস্য়ের একটি বেঞ্চ। যার মাথায় থাকেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। সংবিধানের ২৫ ও ২৬ ধারার মধ্য়ে যে সম্পর্ক, অর্থাৎ ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার বনাম অন্য মৌলিক অধিকারের যে সংঘাত, সেই প্রশ্নের মীমাংসার ভার বৃহত্তর বেঞ্চের হাতেই তুলে দেয় পাঁচ সদস্য়ের সেই বেঞ্চ। সেই বেঞ্চই নয় সদস্য়ের বৃহত্তর সাংবিধানিক বেঞ্চের হাতে তুলে দেয় মামলাটি। অর্থাৎ শবরীমালায় সংবিধানের মৌলিক অধিকার বনাম বিশ্বাসের প্রশ্নটি মীমাংসা করবে নয় সদস্য়ের এই বেঞ্চই। যার মাথায় রয়েছেন প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে। প্রসঙ্গত, আগের পাঁচ সদস্য়ের বেঞ্চের অন্য়তম চার সদস্য, বিচারপতি আরএফ নরিম্যান, এএম খানউইলকর, ডিওয়াই চন্দ্রচূড় আর ইন্দু মালহোত্রা এই নতুন বেঞ্চে থাকছেন না।
সুনির্দিষ্টভাবে সাতটি বিষয় বিচার করে দেখবে এই সাংবিধানিক বেঞ্চ। যার অন্যতম হল, সংবিধানের ২৫ ও ২৬ ধারা অনুযায়ী ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকারের সঙ্গে শবরীমালায় আয়াপ্পা মন্দিরে সব বয়সের মহিলাদের প্রবেশের অধিকারের কোনও সংঘাত রয়েছে কিনা, থাকলে কোথায়।এদিকে প্রশ্ন উঠেছে, বেঞ্চ যদি মহিলাদের প্রবেশাধিকারের পক্ষে রায় দেয়, তাহলেও কি তা মেনে নেবে অপরপক্ষ। কারণ, আগেও যখন মহিলাদের পক্ষে রায় গিয়েছিল, তখন তার প্রবল বিরোধিতা করেছিল আরেকপক্ষ। তুমুল বিক্ষোভের মাঝে পুলিশি সহায়তায় মন্দিরে ঢুকতে পেরেছিলেন কয়েকজন মহিলা। আবার সেই কারণে,পরিবারে নির্যাতিতাও হতে হয়েছিল তাঁদের একজনকে। আর যদি মহিলাদের বিপক্ষে রায় দেয় শীর্ষ আদালত, তাহলে নারী আন্দোলনের কর্মীরাই বা কীভাবে গ্রহণ করবে সেই রায়কে।