সংক্ষিপ্ত
নয় বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুন এবং তারপর জোর করে তার দেহ দাহ করার অভিযোগে উত্তাল দিল্লি। এক পুরোহিতসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নয় বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগে উত্তাল রাজধানী দিল্লি। শুধু তাই নয় খুন করার পর তার বাবা-মা'কে চাপ দিয়ে ধর্ষিতা ওই কিশোরীর দেহ দাহও কর দেয় দুষ্কৃতীরা এমনটাই অভিযোগ। পুলিশ এই মামলায় অভিযুক্ত এক পুরোহিতসহ তিনজনকে আটক করেছে। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে। স্থানীয়রা ন্যায়বিচারের দাবিতে ওই এলাকায় তীব্র প্রতিবাদ-বিক্ষোভ সংগঠিত করেছেন।
জানা গিয়েছে, অত্যন্ত দরীদ্র এক পরিবারের মেয়ে ছিল ওই কিশোরী। দিল্লি ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় পুরানা নাঙ্গল গ্রামে এক শ্মশানের কাছেই তাদের বাড়ি। রবিবার সন্ধ্যায় শ্মশানের কুলার থেকে পানীয় জল আনতে গিয়েছিল কিশোরীটি। আর ফিরে আসেনি। পরে সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ স্থানীয় কয়েকজন এসে ওই কিশোরীর মাকে শ্মশানে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে রাধেশ্যাম নামে এক পুরোহিত দাবি করে, কুলার থেকে জল নিতে গিয়ে ওই কিশোরী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, কিশোরীর মাকে পুলিশকে খবর না দেওয়ার বিষয়েও সতর্ক করেছিল ওই পুরোহিত ও তার সঙ্গীরা। মৃতা কিশোরীর মাকে বোঝানো হয়েছিল, মামলা দায়ের করলে ময়না তদন্ত হবে। আর তাহলে তাঁর মেয়ের অঙ্গ চুরি করা হবে। তাই অবিলম্বে তার দেহ দাহ করে দেওয়া হোক।
"
এনডিটিভির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী মৃতা কিশোরীর মা জানিয়েছেন, সেই সময় কিশোরীটির কব্জি ও কনুইতে পোড়া দাগ ছিল। তার ঠোঁটও নীল হয়ে গিয়েছিল। পুরোহিত ও দলবলের চাপাচাপিতে কিশোরী মেয়েটির বাবা -মা মেয়ের দেহ তখনই দাহ করতে রাজি হয়ে গিয়েছিলেন। স্থানীয়দের অবশ্য অনুমান, এর বিনিময়ে তার দরীদ্র পরিবারটিকে কিছু অর্থও দেওয়া হয়েছিল। পরে, অবশ্য বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন তাঁরা। পুরনা নাঙ্গল গ্রামের প্রায় ২০০ গ্রামবাসী শ্মশানে জড়ো হয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।
আরও পড়ুন - Newton Porn Case: নিউটাউন পর্ণগ্রাফি কাণ্ডে কোর্টে যাওয়ার সময় মুখ খুললেন নন্দিতা-মৈনাক
আরও পড়ুন - 'অবৈধ' সন্দেহে নাতিকে বিষ খাইয়ে খুন, অভিযুক্ত দাদু-ঠাকুমা
পুলিশকেও তারাই খবর দেয়। দক্ষিণ পশ্চিম জেলা পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, রবিবার রাত সাড়ে ১০ টা নাগাদ এই মামলার বিষয়ে ফোনকল এসেছিল। পুরোহিত ও তার আরও তিন সঙ্গীকে গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে আইনের প্রাসঙ্গিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই বিষয়ে আরও তদন্ত করা হচ্ছে।