সংক্ষিপ্ত
- তিনটি পর্নগ্রাফির ওয়েবসাইটে কলেজ পড়ুয়ার নম্বর দিল এক ব্যক্তি
- চণ্ডীগড়রের সেক্টর নাইনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে
- পুলিশ পর্নসাইট থেকে কলেজ পড়ুয়ার নম্বর সরিয়ে নিয়েছে
- অভিযুক্ত ব্যক্তির সন্ধানে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
বেশ কিছুদিন ধরে চণ্ডীগড়ের এক পড়ুয়ার মোবাইলে অজানা নম্বর থেকে ফোন আসছিল। বেশ কয়েকবার অজানা নম্বর থেকে ভিডিও কলেরও অনুরোধ আসে। ওই মহিলা পড়ুয়া কিছুতেই বুঝতে পারে না, কোথা থেকে এই ফোনগুলো আসছে। বেশিরভাগ সময় ওই ফোন থেকে অশ্লীল সব বার্তা ভেসে আসে। তদন্তে উঠে আসে, ওই পড়ুয়ার মোবাইল ফোনের নম্বর দিয়েছে পর্নসাইটে এক ব্যক্তি।
চণ্ডীগড় পুলিশের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ওই পড়ুয়ার মোবাইল নম্বর সেপ্টেম্বরের ২৩ তারিখ তাঁরই এক পুরুষ সহপাঠী তিনটি পর্নগ্রাফির ওয়েবসাইডে ওই মহিলার নম্বর পোস্ট করে দিয়েছে। ২৫ সপ্টেম্বর থেকে এই মহিলার ফোনে অজানা নম্বর থেকে ক্রমাগত ফোন আসতে শুরু করে। মহিলা পড়ুয়া প্রথমে চণ্ডীগড়েরর সেক্টর নাইন থানায় এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করে। পরে পএই অভিযোগটি সাইবার বিভাগে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে চণ্ডীগড় পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।
পুলিশকে ওই মহিলা জানিয়েছে, কমপক্ষে ৫০ থেকে ৬০ জন তাঁর হোয়াটস অ্যাপ নম্বরে ফোন, ম্যাসেজ ও ভিডিও কল করে । প্রথমদিকে ওই ফোনগুলো থেকে অশ্লীল কথা বলা হতো। পরে তিনি মোবাইল ফোন ব্যবহার করা বন্ধ করে দেন। অজানা এক ব্যক্তি তাঁকে অশ্লীয় বার্তা পাঠানোর পাশাপাশি জানান, পর্নগ্রাফির ওয়েড সাইড থেকে মহিলার ফোন নম্বর পাওয়া গিয়েছে। একটা নয় তিনটে পর্নগ্রাফির ওয়েবসাইডে তাঁর ফোন নম্বর দেওয়া আছে বলে জানা গিয়েছে। এরপরেই তিনি থানায় অভিযোগ জানান। পুলিশ পর্নগ্রাফি ওয়েবসাইড থেকে মহিলার নম্বর সরিয়ে দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে কেন ওই সহপাঠী মহিলার নম্বর পর্নগ্রাফি ওয়েব সাইডে দিয়েছে, সেই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
সেপ্টেম্বরে একই ধরনের ঘটনা বেঙ্গালুরুতে ঘটে। সেখানে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা সহপাঠী প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায়, তাঁর ফোন নম্বর পর্নগ্রাফি ওয়েবসাইডে নম্বর দিয়ে দেয়। এই ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করতে সক্ষম হয়েছিল।