সংক্ষিপ্ত
ঠিক কতদূর যাবে আদিত্য এল১? কতগুলি ছবি পাঠাবে সেখান থেকে? জেনে নেওয়া যাক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্যের পর আরও এক সাফল্য ইসরোর ঝুলিতে। শনিবার বেলা ১১টায় সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হল আদিত্য এল১-এর। সূর্যের পথে যাত্রা শুরু করেছে ভারতের মাহাকাশযান। এই প্রথম সৌর মিশনে অংশ নিল ভারত। এর আগে একমাত্র NASA-র ‘পার্কার সোলার প্রোব’ই ছিল সফল সৌর মিশন। ঠিক কতদূর যাবে আদিত্য এল১? কতগুলি ছবি পাঠাবে সেখান থেকে? জেনে নেওয়া যাক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
ইসরোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে পৃথিবী থেকে প্রায় ১.৫ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে প্রতিস্থাপিত করা হবে আদিত্য এল ১-কে। এই এল১ পয়েন্ট থেকে 'দ্য ভিজবল এমিসন লাইন করোনাগ্রাফ' গ্রাউন্ড স্টেশনে পৌঁছনোর পর দিনে ১ হাজার ৪৪০টি ছবি পাঠাবে সৌরযান আদিত্য এল১। এছাড়া সৌরযানের সঙ্গে থাকবে সাতটি বিশেষ যন্ত্রাংশ। সূর্যের আলো পরীক্ষা করার জন্য থাকবে চারটি যন্ত্র এবং বাকি তিনটি প্লাজমা এবং ম্য়াগনেটিক ফিল্ড পরীক্ষা করবে।
ইসরোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্টে অর্থাৎ পৃথিবী থেকে প্রায় সাড়ে ১০ লক্ষ কিলোমিটার দূরে পৌঁছতে আদিত্য এল১-এর সময় লাগবে ১২৫ দিন। উৎক্ষেপণের পর প্রায় ১৬ দিন পৃথিবীর চারিদিকে পাক খাবে আদিত্য-এল১। এরপর উপযুক্ত গতি লাভ করে সূর্যের অভিমূখে যাত্রা করতে মহাকাশযানটির সময় লাগবে ১১০ দিন। পৃথিবী থেকে প্রায় সাড়ে ১০ লক্ষ কিলোমিটার দূরে ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্টে অবস্থান করবে এই আদিত্য এল১। এখানে সূর্য এবং পৃথিবীর আকর্ষণ এবং বিকর্ষণ বল একসঙ্গে ক্রিয়াশীল। ফলে এই অঞ্চলে পৌঁছে কৃত্রিম উপগ্রহ স্থির থাকতে পারে।
ল্যাগ্রাঞ্জিয়ান পয়েন্টঃ
Lagrange point1 হল যেখানে মহাকর্ষী শক্তি দুটি বস্তির মধ্যে কাজ করে। একে অপরকে এমনভাবে ভারসাম্য প্রদান করে যাতে মহাকাশযানটি দীর্ঘ সময়ের জন্য একই জায়গায় অবস্থান করতে পারে।
বিজ্ঞানীদের কথায় সূর্যকে সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণের জন্য L1 বিন্দুটিতে ল্যাগ্রাঞ্জিয়ান বিন্দুগুলির মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। এটি আবিষ্কার করেছিলেন গণিতজ্ঞ জোসেফ লুই ল্যাগ্রেঞ্জ।
L1 পয়েন্টের চার পারে হ্যালো কক্ষপথে যে উপগ্রহ রয়েছে তা থেকে অনেক সুবিধে পেতে পারে। এখান থেকেই সূর্যকে অবিচ্ছিন্নভাবে দেখা যাবে। গ্রহণ ছাড়াও পর্যবেক্ষ করা যাবে। এটি সৌর ক্রিয়াকলাপ পর্যবেক্ষণ করার ও রিয়েল টাইমে মহাকাশের আবহাওয়ার উপর তাদের প্রভাবকে আরও বেশি সুবিধে প্রদান করবে। জানিয়েছে ইসরো।