সংক্ষিপ্ত
মহরমকে ইসলামি ক্যালেন্ডারের প্রথম মাস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য অত্যন্ত ধর্মীয় তাৎপর্য রাখে। মহরমের অষ্টম দিনে এই মিছিল বের করা হয়। সকাল ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত মিছিল বের হয়।
৩০ বছরেরও বেশি সময় পর, শ্রীনগরের শিয়া সম্প্রদায় ঐতিহ্যবাহী গুরুবাজার-ডালগেট রুটে মহরম মিছিল বের করে। মিছিলটি শ্রীনগরের বিখ্যাত লাল চক এলাকাও অতিক্রম করে। ১৯৯০-এর দশকে হিংসার কারণে, এই রুট থেকে মহরমের মিছিল নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এ বছর জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন এটি করার অনুমতি দিয়েছে।
মহরমকে ইসলামি ক্যালেন্ডারের প্রথম মাস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য অত্যন্ত ধর্মীয় তাৎপর্য রাখে। মহরমের অষ্টম দিনে এই মিছিল বের করা হয়। সকাল ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত মিছিল বের হয়। মিছিল বের করতে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সময় বেঁধেছিল প্রশাসন। সকাল সাড়ে ৫টায় গুরুবাজারে জড়ো হন শিয়া সম্প্রদায়ের শত শত মানুষ। এরপর ৬টা থেকে মিছিল বের করা হয়। মিছিল বের হলে দু ঘন্টা তারা শহরের রাস্তা প্রদক্ষিণ করতে পারবে বলে জানিয়েছিল প্রশাসন। সেই মত সকাল ছটা থেকে ধর্মীয় শ্লোগান দিতে দিতে মিছিল বের হয়। তবে পুরোটাই ছিল শান্তিপূর্ণ। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি এদিন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কাশ্মীরের ডিভিশনাল কমিশনার ভি কে বিধুরি বলেন – কাশ্মীরের জনগণের দ্বারা তৈরি করা ভাল পরিবেশের কারণে এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষকে যাতে কোনো সমস্যায় পড়তে না হয় সেজন্য সকালে মিছিল বের করার অনুমতি দেওয়া হয়। এ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় অন্যান্য বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিতে পারবে প্রশাসন।
কাশ্মীরের বিভাগীয় কমিশনার ভি কে বিধুরি বলেন যে কাশ্মীরে তৈরি সঠিক পরিবেশের কারণে অনেক শর্ত দিয়ে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল মহরমের মিছিলের। বহু বছর ধরেই ওই রুটে মিছিল করার দাবি ছিল সম্প্রদায়ের। মিছিলের অনুমতি দেওয়ার আগে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়।
শোভাযাত্রায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়
কাশ্মীরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বিজয় কুমার বলেছেন যে গত কয়েক বছর ধরে শিয়া সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে এই পথে মিছিল করার দাবি ছিল। এবার প্রশাসন অনুমতি দিয়েছে, তাই আমরা নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করেছি। এর একদিন আগে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকও হয়েছে। মিছিল বের হওয়ার কারণে পুরো রুট জুড়ে নিরাপত্তা বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছিল।
জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা গত বছরের সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ কাশ্মীরের দুটি জেলা পুলওয়ামা এবং শোপিয়ানে থিয়েটারের উদ্বোধন করেছিলেন। মনোজ সিনহা বলেন- শীঘ্রই জম্মু ও কাশ্মীরের প্রতিটি জেলায় এই ধরনের সিনেমা হল তৈরি করা হবে। এছাড়াও শ্রীনগরে কাশ্মীরের প্রথম INOX মাল্টিপ্লেক্স খোলা হবে।