সংক্ষিপ্ত
মাঝআকাশে রোপওয়ে থেমে আটকে পড়েছেন প্রায় সাত জন যাত্রী। দু ঘন্টা ধরে আটকে রয়েছেন যাত্রীরা। যান্ত্রিক ত্রুটির জন্যই এই সমস্যা বলে জানা গিয়েছে।
কাটছে না আতঙ্ক। রোপওয়ে ফাঁড়া কাটিয়ে উঠতে পারছে না দেশ। একের পর এক ঘটনা ঘটেই চলেছে। দেওঘরে ভয়াবহ রোপওয়ে দুর্ঘটনার পর এবার হিমাচল প্রদেশ। মাঝআকাশে রোপওয়ে থেমে আটকে পড়েন ১১ জন যাত্রী। দু ঘন্টা ধরে আটকে ছিলেন তাঁরা। যান্ত্রিক ত্রুটির জন্যই এই সমস্যা বলে জানা গিয়েছে। সোমবার হিমাচল প্রদেশের সোলানে এই রোপওয়ে বিভ্রাট ঘটে। পরে ধীরে ধীরে হেলিকপ্টারে প্রত্যেককে উদ্ধার করা হয়।
সোমবার সোলানের পারওয়ানের টিম্বার ট্রেল রোপওয়েতে আটকে পড়েন ১১ জন যাত্রী। সূত্রের খবর, সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে হেলিকপ্টার পাঠিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়। ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর নেই। এদিন সোলানের পুলিশ সুপার সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে জানান, ঘটনাস্থলে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখে টিম্বার ট্রেলের আধিকারিকেরা এবং পুলিশ। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বলে জানিয়েছেন মহকুমাশাসক ধনবীর ঠাকুর।
সোলানের এই রোপওয়েতে যে যাত্রীরা আটকে পড়েছিলেন তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন মহিলা। ফলে তাদের আগে উদ্ধার করা হয়। সর্বশেষ পাওয়া খবরে কেবলকারে থাকা সব যাত্রীকেই নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। সূত্রের খবর, যেখানে রোপওয়েটি আটকে গিয়েছে, তা সমতল থেকে খুব উঁচুতে নয়। তাই উদ্ধারকাজে বেশি বেগ পেতে হয়নি।
উল্লেখ্য, এই টিম্বার ট্রেলের রোপওয়েতে ১৯৯২ সালে এক দুর্ঘটনা ঘটে। ১১জন যাত্রী নিয়ে আটকে পড়েছিল একটি কেবল কার। তাদের মধ্যে ১০জনকে উদ্ধার করা গেলেও, একজনের মৃত্যু হয়েছিল। ১৯৯২ থেকে ২০২২- কুড়ি বছর পর ফের দুর্ঘটনার কবলে টিম্বার ট্রেলের রোপওয়ে।
এদিকে, এপ্রিল মাসেও ঝাড়খন্ডের দেওঘরে রোপওয়ে দুর্ঘটনায় সাড়া পড়ে দেশে। উদ্ধারকাজ শুরু করে বায়ু সেনা, আইটিবিপি। দেওঘরের বাবা বৈদ্যনাথ মন্দিরের কাছে ত্রিকূট পাহাড়ে একাধিক রোপওয়ের ধাক্কা লাগে। তার জেরে রোপওয়ে ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয় ২ মহিলার। পরে উদ্ধারকাজ চলার সময় আরও একজনের মৃত্যু হয়। গুরুতর জখম হন ৮ জন। এদিকে রোপওয়েতে আটকে পড়েন অন্তত ৪৮ জন।
ভারতীয় বায়ু সেনা, ইন্দো টিবেটিয়ান বর্ডার পুলিশ এবং ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স উদ্ধার অভিযান শুরু করে। এই অভিযানে দুটি Mi-17 হেলিকপ্টারও মোতায়েন করা হয়। এই উদ্ধার কাজে হাত লাগায় জেলা প্রশাসনও। উদ্ধারকার্য চলাকালীন এক পর্যটকের মৃত্যু হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় একটি ভিডিও। সেখানে দেখা যায়, বায়ুসেনার হেলিকপ্টারের খুব কাছে পৌঁছে গিয়েও উপরে উঠতে না পেরে নিচে পড়ে যান এক ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, ভারতীয় বায়ুসেনার উদ্ধারকারী কপ্টার থেকে ফেলা দড়ি হাত থেকে পিছলে এক হাজার ৫০০ ফুট উচ্চতা থেকে নিচে পড়ে ওই পর্যটকের মৃত্যু হয়।