সংক্ষিপ্ত
অসম রাইফেলস নিরীহ গ্রামবাসীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। তারপরই স্থানীয় সুশীল সমাজ ও উত্তর পূর্ব ভারসেত অধিকার কর্মীরা সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছেন।
নাগাল্যান্ডের (Nagaland) মোন জেলার ওটিং গ্রামে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জন সাধারণ নাগরিকের। এই ঘটনায় এক সেনা জওয়ানেরও মৃত্যু হয়েছে। তবে নৃশংস ঘটনা আবারও প্রশ্নের মুখে ফেলে দিল ১৯৫৮ সালের সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইনকে (AFSPA) বা আফসপা-কে। উত্তর পূর্ব ভারত (Northeast India) থেকে এই আইন প্রত্যাহারের দাবি তুলছে স্থানীয় বুদ্ধিজীবিরা। অন্যদিকে নাগাল্যান্ডে হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত উত্তেজনা রয়েছে। মোন জেলায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।
অসম রাইফেলস নিরীহ গ্রামবাসীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। তারপরই স্থানীয় সুশীল সমাজ ও উত্তর পূর্ব ভারসেত অধিকার কর্মীরা সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি নাগাল্যান্ডের ঘটনার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীরাও। উত্তর পূর্ব ভারতে দীর্ঘ দিন ধরেই সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন জারি রয়েছে। এই আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরেই সরব স্থানীয় বাসিন্দারা।
AFSPA অসম, নাগাল্যান্ড ,অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর, জারি রয়েছে। তবে মণিপুরের ইম্ফল মিউনিসিপ্যাস কাউন্সিল এলাকা এই আইনের আওতায়র বাইরে পড়ে। একইভাবে অরুণাচল প্রদেশের চাংলাং, লংডিং ও তিরাপ জেলাসহ অসম সীমান্তবর্তী ৮টি থানা এলাকায় এই আইনের আওতায় পড়ে। এদিন নর্থ ইস্ট স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশন বা এনইএসও একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছেন উত্তর পূর্ব ভারতের জনগণের মঙ্গলকামনা করে এই আইন অবিলম্বে প্রত্যাহার করে নেওয়া উচিৎ। তা না হলে এই অঞ্চলের মানষ আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই বিশেষ আইন বলবৎ থাকায় সেনা বাহিনীর সদস্যরা দায়মুক্ত হয়ে কাজ করছে।
অন্যদিকে শনিবার স্থানীয়রা গ্রামবাসীরা চড়াও হয় অসম রাইফেলসের একটি ক্যাম্পে। সেখানে আরও এক গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার পরই বিস্তীর্ণ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বাণিজ্যিক পণ্য পরিবহন। নাগাল্যান্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। টহল দিচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
অন্যদিকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে রাজনৈতিক মহল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে রাহুল গান্ধী দেশের শীর্ষ স্থানীয় রাজনীতিবিদরাও সরব হয়েছেন। গোটা ঘটনাটিকে বিজেপি নাগাল্যান্ডের রাজ্যসভাপতি একটি হতাশাজনক ঘটনা বলেও চিহ্নিত করেছেন। তিনি বলেছেন তিজিট এলাকায় তাদের নিজস্ব কোন্যাক নাগা পুত্রদের একজন মণিপুর থেকে আসা একদল দুষ্কৃতীর অতর্কিত হামলায় শহীদ হয়েছিল। তার এক মাস যেতে না যেতেই হামলার ঘটনা চরম অস্বস্তিকর বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেন নাগাল্যান্ডের বাসিন্দারা দেশের জন্য ত্যাগ স্বীকার করে। সেই ল্যাগাল্যান্ডের তরুণদের এভাবে হত্যা করা যথেষ্ট নিন্দনীয় বলেও জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানিয়েছে গোটা ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হবে। গঠন করা হয়েছে বিশেষ তদন্তকারী দলও।
CISF Recruitment: সিআইএসএফ-এর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, জানুন কী করে শূন্যপদে আবেদন করবেন
Mamata In The Saamana: 'কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে জোট-ভাবনা', সঞ্জয় রাউতের লেখায় মমতার মুম্বই সফর
AAP Vs BJP: টাকা দিয়ে দল বদলের টোপ, পঞ্জাবে আম আদমি পার্টির নেতা সরব বিজেপির বিরুদ্ধে