সংক্ষিপ্ত

বাহিনীর হাতে পাকরাও দুই সক্রিয় লস্কর এ তইবা জঙ্গি। উদ্ধার হয়েছে একাধিক অস্ত্রও। 

ফের সেনার যৌথবাহিনীর(security forces) সাফল্য। বাহিনীর হাতে পাকরাও দুই সক্রিয় লস্কর এ তইবা জঙ্গি(Two Lashkar terrorists)। উদ্ধার হয়েছে একাধিক অস্ত্রও। জম্মু কাশ্মীরের(Jammu and Kashmir) সোপিয়ান(Shopian) থেকে এদের গ্রেফতার করা হয়। জম্মু কাশ্মীর পুলিশ টুইট করে রবিবার এই তথ্য দিয়েছে। রামবি আরার কাছে ডুমওয়ানি গ্রামে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন এলইটির সক্রিয় সদস্য শাহিদ আহমেদ গাইন নামে একজন জঙ্গির উপস্থিতিকর খবর পায় যৌথ বাহিনী। নির্দিষ্ট ইনপুট পেয়ে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান।  অভিযান চালায় ৪৪ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস (RR) এবং সিআরপিএফের ১৪ নম্বর ব্যাটেলিয়ান। 

গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি শুরু হয়। পুলিশ এবং SF-এর একটি যৌথ দল সন্দেহভাজন স্থানে পৌঁছায়। সেখান থেকে অতি দ্রুত দুই ব্যক্তি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে যৌথ তল্লাশি দলগুলো দুজনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃত অপর জঙ্গির নাম কিফায়াত আইয়ুব আলি। তাদের কাছ থেকে একটি চাইনিজ পিস্তল, একটি পিস্তলের ম্যাগাজিন, দুটি চাইনিজ হ্যান্ড গ্রেনেড, আট রাউন্ড পিস্তলসহ নগদ ২.৯ লক্ষ টাকা, অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে এবং আরও তদন্ত চলছে।

এদিকে, দিন কয়েক আগেই একটি রিপোর্টে জানা যায়, জম্মু কাশ্মীরে অক্টোবরে সাধারণ নাগরিকের ওপর একাধিক হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। সেই হামলায় মারা গিয়েছে ১০জন নাগরিক। এরপরেই কার্যত সার্জিকাল স্ট্রাইক চালায় ভারতীয় সেনা। উদ্দেশ্য ছিল নাগরিকদের মৃত্যুর বদলা নেওয়া। এক মাসের মধ্যে নয়া রেকর্ড তৈরি করল জম্মু কাশ্মীর পুলিশ, ভারতীয় সেনা ও ভারতীয় গোয়েন্দাদের যৌথ বাহিনী। জানা গিয়েছে কাশ্মীরি নাগরিকদের ওপর হামলা চালানোর ঘটনায় যুক্ত সব জঙ্গিকেই খতম করতে সফল হয়েছে সেনার যৌথবাহিনী। 

সংবাদসংস্থার রিপোর্ট জানাচ্ছে পাকিস্তানের টেরর মডিউল থেকে সবরকম সাহায্য করা হত এই জঙ্গিদের। জঙ্গি অনুপ্রবেশ থেকে অর্থসাহায্য, অস্ত্র সরবরাহের মতো ঘটনা ভারতীয় সেনার সামনে এসেছে। এরপরেই চিরুণি তল্লাশিতে নামে সেনা। লক্ষ্য ছিল কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার সংখ্যা শূণ্য করে তোলা। 

ভারতীয় সেনা জানিয়েছে সাধারণ নাগরিক ও অ-কাশ্মীরিদের ওপর হামলার পরিমাণ জম্মু কাশ্মীরে বাড়ছিল। সে কারণেই এই অভিযান শুরু হয়। সিকিওরিটি ফোর্সের তরফে জানানো হয়েছে জম্মু কাশ্মীর জুড়ে যেভাবে তল্লাশি অভিযানের হার বাড়িয়েছে সিআরপিএফ, তাতে সাফল্য এসেছে। চলতি বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত পাওয়া খতিয়ান জানাচ্ছে এই বছরে ১৩৮ জন জঙ্গিকে নিকেশ করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।