সংক্ষিপ্ত
- শনিবার আন্দোলনকারী কৃষকদের চাক্কা জ্যাম কর্মসূচি
- তারপর আগেই ফুলের রাজনীতি করলেন রাকেশ টিকাইত
- পেরেকের পরিবর্তে ফুল বিছালেন তিনি
- সঙ্গে ছিল আন্দোলনকারী ও স্থানীয় বাসিন্দারা
কাঁটার পরিবর্তে ফুল। একটু ভুল হল কাঁটা নয়, পেরেক আর লোকার রডের পরিবর্তে ফুল বললেই ঠিক হবে। শুক্রবার কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইতের আরও একটি নজিরবিহীন কাণ্ডের সাক্ষী রইল দেশ। এদিন দিল্লি সীমানা এলাকায় সরকারের পেরেক পোঁতা জায়গায় মাটি আর ফুল বিছিয়ে দিলেন ভারতীয় কৃষক ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকাইত।
অন্যদিনের থেকে এদিন দিল্লির গাজিপুর সীমানার বর্ডার ছিল অনেকটাই আলাদা। গাজিয়াবাদ থেকে দুটি মাটি বোঝাই করা ট্রাক আসে সীমানায়। বিক্ষোভকারীরা ট্রাকটিকে স্বাগত জানান। আর সেটিকে নিয়ে যান সীমানা এলাকায়। সেখানেই মাটি ঢেলে দেওয়া হয়। তারএপর ফুলগাছের চারা লাগান হয়। এই পুরো ঘটনার সামনের সারিতে ছিলেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত। অন্যধরনের এই প্রতিবাদে সামিল হয়ে রীতিমত উৎসাহি ছিলেন আন্দোলনকারী কৃষকরা।সেই সময়ই তিনি বলেন কৃষকরা ফলস লাগাচ্ছে। আর তাদের পথে সরকার পেরেক বিছিয়ে দিয়েছে। স্থানীয় গ্রামের বাসিন্দারা গাছের চারাগুলিতে জল দেওয়ার জন্য স্থানীয় গ্রামের বাসিন্দারা জল এনে ছিলেন। এই অনুষ্ঠানে সামিল হয়েছিল বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষ।
২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিসবের পরের দিন থেকেই আন্দোলনকারী কৃষকদের রুখতে বেশ কয়েকটা কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল কেন্দ্রীয় দিল্লি পুলিশ। কৃষকদের আন্দোলনের স্থল, সিংহু, টিকরি আর গাজিপুরে চার স্তরীয় ব্যারিকেড করে দিয়েছিল। আন্দোলনকারী কৃষকরা যাতে দিল্লিতে প্রবেশ করতে না পারে তারজন্য সিমেন্টের দেওয়ার তৈরি করা হয়েছিল। রাস্তায় বিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল পেরেক। কৃষকদের পথ আচকাতে লোহার রডও দেওয়া হয়েছিল। যা নিয়ে দেশ জুড়েই সমালোচনা শুরু হয়। এই বস্থায় দিল্লি পুলিশ কিছুটা সুর নরম করে। রাস্তার ওপর থেকে পেরে তুলে নেওয়া হয়। দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে জানান হয়েছিল আন্দোলনকারী কৃষকরা চাক্কা জ্যাম কর্মসূচি পালন করতে যাতে দিল্লিতে প্রবেশ করতে না পারে তারজন্যই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল। অন্যদিকে কৃষকনেতা রাকেশ টিকাইত গতকালই জানিয়েছিলেন দিল্লির বাইরেই পালন করা হবে চাক্কা জ্যাম কর্মসূচি।