সংক্ষিপ্ত
- সিবিআইকে দেওয়া সাধারণ অমুমোদন প্রত্যাহার
- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখান পথেই পিনারাই বিজয়ন
- আগেই একই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মহারাষ্ট্রসহ আবিজেপি রাজ্যগুলি
- অথৈ জলে পড়ল কেরলের তদন্ত
বাংলার দেখান রাস্তাতেই হাটল কেরলা। বুধবার কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো বা সিবিআই-কে দেওয়া সাধারণ সম্মতি প্রত্যাহার করে নিয়েছে কেরলের বাম সরকার। দীর্ঘদিন ধরেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন থেকে রাজ্যে তদন্ত চালানোর জন্য প্রতিটি বিষয়ে রাজ্য সরকারের অনুমতি নিতে হবে। সম্প্রতি একই রাস্তায় হেঁটেছিল মহারাষ্ট্র। টিআরপি কেলেঙ্কারির তদন্ত করছিল মুম্বই পুলিশ। উত্তর প্রদেশ সরকারও একই ঘটনার তদন্ত সিবিআইকে হস্তান্তর করেছিল। সেই চলাকালীন সিবিআইকে প্রতিহত করার জন্য সিবিআইকে দেওয়া সাধারণ সম্মতি প্রত্যাহার করেছিল। যা নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়ে মহারাষ্ট্র বিকাশ আগাড়ি সরকারের। কিন্তু এবার সেই একই পথে হাঁটল কেরল সরকার। আগেই অবশ্য এই বিশয়ে পদক্ষেপ করেছে পশ্চিমবঙ্গ।
ডিএসপিই আইনের আওয়ার পড়ে সিবিআই। একটি রাজ্যের মধ্যে থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় সম্মতির প্রয়োজন। আর সেই কারণেই রাজ্যে তদন্ত করার জন্য এই এজেন্সিকে রাজ্যগুলির থেকে নিয়মিত অনুমোদন পুনর্নবিকরণের প্রয়োজন হয়। ২০১৮ সালের শেষ দিকে পশ্চিমবঙ্গ সিবিআইএর সাধারণ সম্মতি প্রত্যাহার করে। সেই সময় একই পথে হেঁটেছিল অন্ধ্রপ্রদেশের চন্দ্রবাবু সরকার। কিন্তু পরবর্তীকালে সেখানে সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর আবারও সিবিআইকে সাধারণ অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু কংগ্রেস শাসিত রাজস্থান, ছত্তিশড়সহ একাধিক অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি সিবিআইকে দেওয়া সাধারণ অনুমতি প্রত্যাহার করে নিয়েছে। আবর সেই তালিকায় জুড়ল বাম শাসিত কেরলের নাম।
কেরলে পিনারাই বিজয়ন সরকারের সঙ্গে সিবিআই-এর মতবিরোধের সূত্রপাত রাজ্যের গৃহহীনদের জন্য আবাসন প্রকল্প লাইফ মিশন নিয়ে। এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়ে ছিল। রাজ্য সরকারের অবেদনের পর কেরল সরকার সিবিআই তদন্তের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছিল। কিন্তু বর্তমানে সিবিআইকে দেওয়া সাধারণ অনুমোদন প্রত্যাহারের পর তদন্তের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।