সংক্ষিপ্ত

  • দিল্লির বায়ু দূষণের পরিমাণ ক্রমেই বাড়ছে
  • আগেই সতর্ক করেছিল দিল্লি প্রশাসন
  • সুপ্রিম কোর্ট মাত্র দুই ঘণ্টার জন্য আতসবাজি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিল
  • দীপাবলির পরের দিন বায়ু দূষণের পরিমাণ ব্যাপক  হারে বেড়ে গিয়েছে
     

আলোর উৎসব দীবাবলি। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলে আতস বাজির রোশনাই।  এমনিতে দিল্লির বায়ু দূষণের হার  অতিরিক্ত। দিনে দিনে দিল্লির বায়ু দূষণের অবস্থার অবনতি হচ্ছে। পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সুপ্রিম কোর্ট দুই ঘণ্টার জন্য আতস বাজির অনুমতি দিয়েছিল দিল্লিতে।  এই সাবধনতা অবলম্বনের পরও পরিস্থিতি ঠেকানো গেল না। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স অনুযায়ী দিল্লির বাতাসে দূষণের পরিমাণ অনেকটাই বেড়েছে। 

শব্দ বাজির দাবানল, বিষাক্ত ধোঁয়া ও আতসবাজির ছাই  দিল্লির বায়ু দূষণের পরিমাণ অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে।  দিল্লির মালভিয়া নগর, লাজপত নগর, কৈলাস হিলস, বুরারি, জঙ্গপুরা, লক্ষী নগর, ময়ূর বিহার, সরিতা বিহার, হারি নগর, নিউ ফ্রেন্স কলোনি সহ দিল্লির বহু এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনেকক্ষেত্রে মানা হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দিষ্ট দুই ঘণ্টা সময় বেঁধে দেওয়ার পরও অনেকেই আতসবাজি জ্বালিয়েছেন বা শব্দবাজি ফাটিয়েছেন। গাজিয়াবাদ, গুরগাঁও, নয়ডাতে ব্যাপক পরিমাণে আতসবাজির ব্যবহার করা হয়েছে। এমনকী, অনেক জায়গাতে রাত্রি আটটার আগে থেকেই আতসবাজির ব্যবহার শুরু হয়ে যায়।  

দিল্লি সরকারের বায়ু নিরীক্ষক দপ্তরের তরফে এক বিবৃতিতে আগেই জানিয়েছিল, দীপাবলির দিন ব্যাপক পরিমাণে শব্দবাজি, আতসবাজির ব্যবহারের ফলে  শহরের বায়ুদূষণের পরিস্থিতি অনেকটাই খারাপ হবে।  বায়ু নিরীক্ষক দপ্তরের আশঙ্কাকে সত্যি করে সোমবার সকালে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়।  এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স অনুযায়ী  সূচক ০ থেকে ৫০ পর্যন্ত থাকলে ভালো ধরা হয়।  অন্য দিকে সূচক ৫১-১০০  পর্যন্ত থাকলে বায়ুর পরিস্থিতি সাধারণ ধরা হয়। ১০১-২০০ মধ্যে সূচক থাকলে, ইঙ্গিত করে বায়ু  ক্রমেই দূষণের দিকে যাচ্ছে। ৩০১-৪০০ মধ্যে সূচক থাকলে বায়ুর দূষণের পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ বলে চিহ্নিত করা হয়। বায়ুর দূষণের সূচর ৪০১-৫০০ এর মধ্যে থাকলে পরিস্থিতি গুরুতর নির্দেশ করে। তবে সূচক ৫০০ ওপর চলে গেলে জরুরি অবস্থা ধরা হয় বলে জানা গিয়েছে।