সংক্ষিপ্ত
- ভূতের অস্তিত্বের প্রমাণ দিতে পারলেই হাতে নগদ ৫০,০০০ টাকা
- পুরস্কার ঘোষণা করেছে ওড়িশার গঞ্জম জেলা
- জেলা আধিকারিক জানিয়েছেন কুসংস্কার দূর করাই তাঁর লক্ষ্য
- সম্প্রতি এই জেলায় কুসংস্কারের বশে অনেক মানুষের উপর অত্যাচার করা হয়েছে
গতকাল ভূত চতুর্দশী গিয়েছে, আজ কালিপুজো। এই সময় ভূত-প্রেতরা একটু বেশিই সক্রিয় হন বলে কথিত আছে। আর এই সময় ভূত ধরে দিতে পারলেই একেবারে নগদ ৫০,০০০ টাকা পুরস্কার মিলবে। ভূত ধরতেও হবে না, ভূত আছে এটা প্রমাণ করতে পারলেই হবে। এমন কথাই ঘোষণা করেছেন ওড়িশার গঞ্জম জেলার এক শীর্ষস্থানীয় সরকারি আধিকারিক। স্থানীয় মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং কুসংস্কার দূর করাই তাঁর লক্ষ্য।
ওড়িশার গঞ্জম জেলার বিভিন্ন গ্রামেই দীর্ঘদিন ধরে ভূত-প্রেতের উপদ্রবের অভিযোগ রয়েছে। সেই সঙ্গে মাঝে মাঝেই ডাকিনীবিদ্যা, কালা জাদু করার অভিযোগও ওঠে। জেলায় সাম্প্রতিক দুটি ঘটনা জেলার সরকারি আধিকারিকদের চিন্তায় ফেলে দিয়েছে।
সম্প্রতি ডাকিনি বিদ্যা প্রয়োগের সন্দেহে গোপাপুর গ্রামের ছয়জন বাসিন্দার দাঁত উপরে নেয় গ্রামবাসীরা। জোর করে তাদের মল খাওয়ানো হয়। একই রকম আরও একটি ঘটনা ঘটে জগন্নাথ প্রসাদে। দুটি ঘটনায় পুলিশ যথাক্রমে ৩৫ ও ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এর পাশাপাশি বেশ কয়েকটি গ্রামে কালা জাদু করার সন্দেহ বেশ কিছু পরিবারকে বহিষ্কারও করা হয়েছে।
এরপরই গঞ্জম জেলার কালেক্টর বিজয় অমৃত কুলঞ্জ এই পুরস্কারের কথা ঘোষণা করেছেন। তাঁর দাবি, জেলায় কোনও ভূত নেই। যদি কেউ ভূতের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে পারে বা কুসংস্কারের ন্যায্যতা প্রমাণ করতে পারে তবে সেই ব্যক্তিকে ৫০,০০০ টাকা পুরস্কার দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি আরও জানিয়েছেন বলেছিলেন, জাদুবিদ্যার কারণে জেলায় কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ছে না। তবে জেলার অনেক গ্রামেই এরকম অনেকেই আছেন, যাদের বিশ্বাস তাঁদের আত্মীয় পরিজনরা জাদুবিদ্যার কারণেই অসুস্থ হয়েছেন। অসুস্থ ব্যক্তিকে চিকিত্সকের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে তাঁরা কালো জাদুর কারবারিদের কাছে যান। তাঁর মতে এতে গ্রামবাসীদের দোষ দেওয়া যায় না। কারণ তাঁদের শিক্ষার অভাব রয়েছে। সচেতনতার অভাব রয়েছে। আর সেই কারণেই তিনি এই নতুন উদ্যোগ নিয়েছেন।