সংক্ষিপ্ত
- এয়ার বিস্তারার বিমানের ঘটনা
- সোমবার মুম্বই থেকে দিল্লি যাচ্ছিল বিমানটি
- বিমানে ১৫৩জন যাত্রী ছিলেন
- চার ঘণ্টা আকাশে চক্কর কেটে প্রায় ফুরিয়ে গিয়েছিল জ্বালানি
মুম্বই থেকে দিল্লি যাওয়ার জন্য ১৫৩ জন যাত্রী নিয়ে উড়েছিল বিমান। সময় লাগার কথা ছিল দু' ঘণ্টা মতো। কিন্তু দিল্লি, লখনউ, এলাহাবাদ হয়ে ফের আকাশে চক্কর কেটে যখন বিমানটি যখন লখনউ বিমানবন্দরে অবতরণ করল, তখন তাতে মাত্র পাঁচ মিনিট ওড়ার মতো জ্বালানি বাকি!
আরও পড়ুন- জট কাটিয়ে ভারতের জন্য আকাশপথ খুলে দিল পাকিস্তান
ঘটনায় বিমানের দুই পাইলটকেই বসিয়ে দিয়েছে ডিজিসিএ।একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিকের খবর অনুযায়ী, সোমবার দুপুরে মুম্বই থেকে দিল্লি যাওয়ার জন্য ওরে বিস্তারার বিমানটি। কিন্তু দিল্লি বিমানবন্দরে নামার সময় চালকরা এটিসি -কে জানান, সেখানে দৃশ্যমানতা কম। বেশ কিছুক্ষণ দিল্লির আকাশে চক্কর কাটার পরে বিমানটিকে লখনউয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে গিয়েও একই অভিযোগ করেন দুই পাইলট।
এবার লখনউ থেকে বিমানটিকে পাঠানো হয় ২০০ কিলোমিটার দূরের এলাহাবাদ বিমানবন্দরে। বিমানটি যখন এলাহাবাদ বিমানবন্দর থেকে সাত মিনিট দূরে, তখন লখনউ এটিসি থেকে চালকদের জানানো হয়, লখনউয়ের আবহাওয়ার উন্নতি হয়েছে। তখন আবার বিমানের মুখ ঘুরিরে লখনউ আসার সিদ্ধান্ত নেন দুই চালক। চার ঘণ্টা টানাপোড়েনের পরে বিমানটি যখন মাটি ছোঁয়, তখন সেটিতে মাত্র দুশো কেজি বা পাঁচ মিনিট ওড়ার মতো জ্বালানি অবশিষ্ট ছিল।
অথচ, মুম্বই থেকে ওড়ার সময় ওই এ৩২০ই বিমানটিতে ৮৫০০ কেজি জ্বালানি ভরা হয়েছিল বলে খবর। ফলে আর সামান্য কিছু বিমানটি আকাশে থাকলে ভয়াবহ দুর্ঘটনার আশঙ্কা ছিল। এলাহাবাদ থেকে লখনউ বিমানে প্রায় তিরিশ মিনিট সময় লাগে। বিমানের জ্বালানি ফুরিয়ে আসছে দেখেও দুই পাইলট কেন সেই ঝুঁকি নিলেন, সেই প্রশ্নও উঠছে।