সংক্ষিপ্ত
- অসম সরকারের দুই নীতির তীব্র সমালোচমা বদরুদ্দিন আজমলের
- তাঁর মতে সরকার মুসলিমদের চাকরি দিতে চায় না
- তাই ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা যত খুশি সন্তানের জন্ম দিতে পারেন
- বিজেপি কি চায়, তাই জানে না বলেও মন্তব্য তাঁর
অসম সরকারের দুই সন্তান নীতির তীব্র সমালোচনা করলেন অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের প্রধান বদরুদ্দিন আজমল। নিজের ক্ষোভ প্রকাশ্যে উগড়ে দিয়ে তিনি জানান, অসম সরকার এমনিতেই ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের বিশেষ চাকরি দেয় না। তাই অসম সরকারের দুই সন্তানের নীতিতে ভয় পেয়ে কোনও লাভ নেই। তিনি ইসলামধর্মাবলম্বীদের যত খুশি সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরামর্শ দেন।
সম্প্রতি অসম সরকার দুই সন্তানের নীতি নিয়েছে। অসম প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, দুইয়ের বেশি সন্তান হলে সরকারি চাকরি পাওয়া যাবে না। এই বিষয়ে বদরুদ্দিন আজমল জানিয়েছেন, ইসলাম কখনই দুই সন্তানের নীতি বিশ্বাস করে না। ইসলামে নিয়মে যারা এই পৃথিবীতে আসতে চায়, তাদের আসতে দেওয়া উচিত। এরপরেই তিনি জানান, 'এমনিতেই সরকার আমাদের বিশেষ চাকরি দেয় না। তাই চাকরি ভয় পাওয়ার কোনও দরকার নেই। সন্তানকে শিক্ষিত করুণ। ওরা বড় হলে তারা ব্যবসা করবে, দোকান করবে, বিভিন্ন সংস্থা চালু করবে। তার ফলে অনেকে চাকরি পাবে। হিন্দু ভাউ বোনেরা আমাদের অধীনে কাজ করতে আসবে।'
বিজেপির বিরুদ্ধে নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে তিনি বলেন, বিজেপি কী চায়, তা তারা নিজেরাই জানে না। একদিকে আরএসএস নেতা মোহন ভগবত সবাইকে আট থেকে দশটা সন্তানের জন্ম নিতে বলছেন। অন্যদিকে, সেই বিজেপি দুই সন্তানের নীতি বলবৎ করতে চাইছে। আগে তারা ঠিক করুক তারা কি চায়। দুই সন্তান নীতি মানলে বাবা-মার পঞ্চম সন্তান প্রধানমন্ত্রী কিংবা অষ্টম সন্তান অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল জন্মাতেন না।
বদরুদ্দিন আজমের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপি এমলএ সুরেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, ভারতে জন্ম নিয়ন্ত্রণ আইন এখনই বলবৎ করতে না পারলে আগামী ৫০ বছরে হিন্দুরা অস্তিত্ব হীনতায় ভুগবে। এখনই পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি এবং আরএসএসের কর্মীরা খুন হচ্ছে। কিন্তু তাঁরা কোনও বিচার পাচ্ছেন না।