সংক্ষিপ্ত
আয়কর নোটিশকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস নেতা তথা দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। যার উত্তর দিয়েছেন ব্লু ক্র্যাফস্ট ফাউন্ডেশনের সিইও অখিলেশ মিশ্র।
আয়কর নোটিশ ইস্যুকে কেন্দ্র করে লোকসভা নির্বাচনের আগেই উত্তপ্ত দেশের রাজনীতি। যার আঁচ ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে বিদেশেও। কংগ্রেসকে নোটিশ পাঠিয়েছে আয়কর দফতর- এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা ইতিমধ্যেই বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। পাল্টা কংগ্রেসকে নিশানা করেছে বিজেপিও। আয়কর নোটিশকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস নেতা তথা দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। যার উত্তর দিয়েছেন ব্লু ক্র্যাফস্ট ফাউন্ডেশনের সিইও অখিলেশ মিশ্র। তিনি বলেছেন যথাযছ আয়কর না দেওয়াটা কংগ্রেসের আরও একটি কেলেঙ্কারির মধ্যে পড়ে।
পি চিদাম্বরমের পোস্ট-
প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম বলেছেন, 'আমাদের দেশ গণতান্ত্রিক, সবথেকে বড় বিরোধী দল , কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বিজেপি নির্বাচনের ঠিক আগেই বাজেয়াপ্ত করেছে।
এটি কংগ্রেসকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করার একটি প্রচেষ্টা ছাড়া আর কিছু নয়। ছলনার আশ্রয় নিয়েছে বিজেপি। তবুও এই ছল-চাতুরির বিরুদ্ধে আমরা বিজেপির কাছে হার স্বীকার করব না। মাথা নিচু করব না। আমরা বিশ্বাস করি যে আগামী নির্বাচনে এই দেশের মানুষ বিজেপিকে উপযুক্ত জবাব দেবে।'
পাল্টা অখিলেশ মিশ্রার পোস্ট -
অখিলেশ মিশ্র চিদাম্বরমের পাল্টা লম্বা পোস্ট করেন। পাশাপাশি তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ তোলেন চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, কংগ্রেস পার্টি অর্থ জোগাড়েও একটি কেলেঙ্কারি করেছে। আর সেই কারণে ট্যাক্সের দাবি উঠেছে। তিনি বলেন, কংগ্রেস পার্টির আয়র দাবির সত্যতা হল- আয়কর অনুসন্ধান এপ্রিল ২০১৯ - কংগ্রেস নগদ পেয়েছিল মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং আর কমলনাথের থেকে।
২০১৩-১৪ সাল থেকে ২০১৯ সালের এপ্রিল পর্যন্ত কংগ্রেসের নগদ প্রাপ্তির মোট পরিমাণ ছিল ৬২৬ কোটি টাকা। এই হিসেব দেখিয়ে অখিলেশ মিশ্র দাবি করেন, 'মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে নগদ রসিদগুলি প্রদত্ত চুক্তির জন্য ছিল, কমলনাথের নগদ অর্থ ছিল তার দ্বারা পরিচালিত একটি বৃহৎ কথিত দুর্নীতি কেলেঙ্কারি থেকে যা সিনিয়র আমলা, মন্ত্রী, ব্যবসায়ী ইত্যাদি সহ বেশ কয়েকজন লোকের কাছ থেকে ঘুষ সংগ্রহের সাথে জড়িত ছিল। এই নগদ প্রাপ্তিগুলি এরাধিক উপায়ে প্রতিষ্ঠিত ও নিশ্চিত করা হয়েছে। আয়কর আইনের ধারা 13A এর অধীনে, একটি রাজনৈতিক দলের দ্বারা প্রাপ্ত আয় ছাড় দেওয়া হয় যদি কিছু শর্ত পূরণ করা হয়।কংগ্রেস পার্টির ক্ষেত্রে এই শর্তগুলি পূরণ করা হয়নি: ফলস্বরূপ, পার্টি কর প্রদান থেকে অব্যাহতি হারিয়েছে। তাই কংগ্রেস পার্টি আয়ের ওপর সম্পূর্ণ কর দিতে বাধ্য সংবিধানের 13A ধারা অনুযায়ী। ' তিনি আরও বলেছেন, কোনও বিচারবিভাগ থেকে কংগ্রেস কোনও ধরনের স্থগিতাদেশ আনতে বাধ্য হয়েছে। তার কারণ আয়কর দফতর আদালতে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছে। আয়কর দফতর আইন মেনে কাজ করছে। তিনি আরও বলেছেন, ৩১ মার্চ ২০১৪ সাল পর্যন্ত সময় বেধে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, কংগ্রেস যদি নির্দোষ হয় তাহলে চ্যালেঞ্জ করছেন না কেন পি চিদাম্বরম। তিনি আরও বলেন, জনসাধারণের দরবারে গেলে কংগ্রেসের সমস্যা আগামী দিনে আরও বাড়বে।
আয়করে অসঙ্গতি থাকার জন্য ভোটের মুখে কংগ্রেসকে গুণতে হবে ১৮০০ কোটি টাকা। লোকসভা নির্বাচনের আগেই কংগ্রেস আয়কর বিভাগের নোটিশ পেয়েছে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিরোধিতা শুরু করেছে কংগ্রেস। ফেব্রুয়ারিতেই আয়কর খেলাপির অভিযোগ দলে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে। ১৩০ কোটি টাকা বকেয়া পরিশোধের নোটিশও দেওয়া হয়েছিল।