সংক্ষিপ্ত

এই মামলায় হাইকোর্ট ১২% সুদ সহ বকেয়া ফেরানোর নির্দেশ দেয়। এদিন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ সেই সুদের হার কমিয়ে ৬% করে। তবে সুপ্রিম কোর্টের কড়া পর্যবেক্ষণ, যে সরকার নিজের কর্মীদের বকেয়া আটকে রাখে তাদের উপযুক্ত হারে সুদ দেওয়ার নির্দেশই দেওয়া উচিত।

সরকার বেতন ও পেনশন দিতে বিলম্ব করলে তা সুদ সহ মেটানো উচিৎ। পরিষেবার বিনিময়ে সরকারি কর্মচারীরা বেতন পেয়ে থাকেন।বেতন কর্মচারীদের ন্যায্য অধিকার। তাই আইন অনুযায়ী বেতন প্রদানযোগ্য। পাশাপাশি পেনশনভোগীদের পেনশনও ন্যায়সঙ্গত অধিকার। তাই তা দিতে বাধ্য সরকার। জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট।

জানিয়ে রাখি, আগে এই মামলায় হাইকোর্ট ১২% সুদ সহ বকেয়া ফেরানোর নির্দেশ দেয়। এদিন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ সেই সুদের হার কমিয়ে ৬% করে। তবে সুপ্রিম কোর্টের কড়া পর্যবেক্ষণ, যে সরকার নিজের কর্মীদের বকেয়া আটকে রাখে তাদের উপযুক্ত হারে সুদ দেওয়ার নির্দেশই দেওয়া উচিত।

প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্ট প্রাক্তন জেলা ও দায়রা জজ। নিজের বকেয়ার দাবিতে তিনি জনস্বার্থ মামলা করেন। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে সেই মামলা উঠলে ২০২০ সালের মার্চ-এপ্রিল মাসের বিলম্বিত বেতন প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।

বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, সরকার বেতন ও পেনশন দিতে বিলম্ব করলে তা সুদ সহ মেটানো উচিৎ। পরিষেবার বিনিময়ে সরকারি কর্মচারীরা বেতন পেয়ে থাকেন। বেতন কর্মচারীদের ন্যায্য অধিকার। তাই আইন অনুযায়ী বেতন প্রদানযোগ্য। পাশাপাশি পেনশনভোগীদের পেনশনও ন্যায়সঙ্গত অধিকার। তাই তা দিতে বাধ্য সরকার।

ওদিকে অন্ধ্রপ্রদেশের রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে জানায় করোনা মহামারীর জন্য সরকার আর্থিক অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিল। বেতন ও পেনশন প্রদান স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। বেতনের ওপর বাড়তি সুদ যেন না চাপানো হয় আদালতে সেই আর্জি রাখে রাজ্য সরকার।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।