সংক্ষিপ্ত
- ৯ নভেম্বর পাকিস্তানে কর্তারপুর করিডর উদ্বোধন
- কর্তারপুর করিডর নিয়ে শিখদের উত্তেজনা চরমে
- তার মধ্যেই এল নিরাপত্তা নিয়ে হুমকি
- কর্তারপুরে গোপনে ভারত বিরোধী কাজ চলছে বলে অভিযোগ
পাকিস্তানে কর্তারপুর করিডর উদ্বোধনে আর ২৪ ঘণ্টাও বাকি নেই। কর্তারপুর করিডর উদ্বোধন নিয়ে ভারতে শিখ সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা চরমে। কিন্তু সেই উত্তেজনাকে এক প্রকার আশঙ্কায় পরিণত করে আদিত্য রাজ কৌর নামে একব্যক্তি দুটি টুইট করেছেন। প্রথমে কার্তারপুর সাহিব গুরুদ্বারের সামনে একটি বিজ্ঞপ্তির ছবি প্রকাশ করেন। তার পাশাপাশি টুইটারে জানান, কর্তারপুর করিডরের ঐতিহাসিক উদ্বোধনেক আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি আছে। ভারতে শিখ সম্প্রদায়ের বিরোধিতা করতে পাক সেনাবাহিনি কর্তারপুর সাহিব গুরুদ্বারে ১৯৭১ সাল থেকে একটা বোমা রেখে দিয়েছে। এই বোমা রাখার ফলে ভারতীয়দের পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে বলে মনে করছেন ওই ব্যক্তি। পালটা টুইটে পাকিস্তানের এহেন মন্তব্যে নিন্দা করে দেশবাসী জৈনিক ওই ব্যক্তিকে সমর্থন করেছেন।
এর আগেই আর একটি টুইট করেন আদিত্য রাজ কৌর নামের অন্য এক ব্যক্তি। তিনি জানিয়েছেন, পাকিস্তানে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের এক সদস্য বিকাশ চোবরা কয়েকটি ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করেছেন। চোবরা জানিয়েছেন, কর্তারপুরে ভারত বিরোধী প্রচার শুরু করেছে বেশ কয়েকটি সংস্থা। এই বিষয়ে বিকাশ চোবরা একটা ভিডিও করেন। সেই ভিডিও আদিত্য রাজ কৌর নামের ওই ব্যক্তি টুইটারে প্রকাশ করেন।
৯ নভেম্বর কর্তারপুর করিডর উদ্বোধন হবে। এই উদ্বোধনে ভারত থেকে নভজোত সিং সিধুকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২৪ অক্টোবর ভারত পাকিস্তান কর্তারপুর করিডর চুক্তি স্বাক্ষরিত করে। পাকিস্তানের নারওয়াল জেলায় ভারত-পাক সীমান্তের কর্তারকপুর জিরো পয়েন্টে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই দরবার শরিফে শিখ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা গুরু নানক জীবনের শেষ ১৮ বছর অতিবাহিত করেছিলেন। শিখদের পবিত্র তীর্থস্থান হিসেবে কর্তারপুর সাহিব গুরুদ্বারকে মনে করা হয় বলে জানা গিয়েছে।