সংক্ষিপ্ত
- এবার জোর দেওয়া হয়েছে দুরবুক শিয়োক ডিবিও রাস্তায়
- অক্টোবরের মধ্যেই শেষ হবে নির্মাণকাজ
- আরও কতগুলি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে
- লাদাখের সঙ্গে শীতকালে যোগাযোগ রাখায় জোর
অটল টানেলের চালু হওয়ার পরেও হাত গুটিয়ে বসে থাকতে নারাজ ভারত। এবার কেন্দ্রীয় সরকার তৎপর হয়েছে দুরবুক-শিয়োক-দৌলতবেগ ওল্ডি রাস্তার কাজ শেষ করতে। এক সেনা কর্তা জানিয়েছে অক্টোবরের শেষই এই রাস্তাটি নির্মাণের কাজ শেষ হবে। এই রাস্তা তৈরিতে আপত্তি জানিয়েছিল চিন। পূর্ব লাদাখ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় গত পাঁচ মাস ধরে চলা উত্তেজনার একটি অন্যতম কারণও এই রাস্তাটি। কারণ এই রাস্তাটি তৈরি হলে ভারত সারা বছরই লাদাখের দুর্গম এলাকাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারবে। অন্যদিকে এই রাস্তাটি ছাড়াও ডেমচেক-কারগিল রাস্তা তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। লাদাখের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলির সঙ্গো যোগাযোগ রাখতে আরও বেশ কয়েকটি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও সেনা সূত্রের খবর।
সেনা বাহিনী সূত্রে বলা হয়েছে, দুরবুক-শিয়োক-দৌলত বেগ ওল্ডির রাস্তার শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে। ব্ল্যাক টপিংএর কাজ অক্টোবরের শেষের দিকে সম্পূর্ণ হবে। তারপরই এই রাস্তাটি খুলে দেওয়া হবে। এই রাস্তাটির দক্ষিণে রয়েছে চিপ চ্যাপ নদী। দৌলত বেগ ওল্ডিতেই রয়েছে বিশ্বের সবথেকে উঁচু এয়ার স্ট্রিপ। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে এটির উচ্চতা প্রায় ১৬ হাজার ৬১৪ ফুট। এই রাস্তাটি কারাকোরাম পাশ পর্যন্ত বিস্তৃত। আর সেখান থেকে চিন অধিকৃত আকসাই চিনের দূরত্ব মাত্র ৯ কিলোমিটার। আর দক্ষিণ চিন সীমান্তের দূরত্ব মাত্র ৮ কিলোমিটার। তাই এই রাস্তার কৌশলগত গুরুত্ব অনেকটা বেশি।
লাদাখে চলমান চিনা সেনার আগ্রাসন প্রতিহত করতে আরও বেশ কয়েকটি পরিকল্প নিয়ে বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন। ডেমচেক থেকে কারগিল পর্যন্ত রাস্তা তৈরির প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি লাদাখের সঙ্গে সারা বছর যোগাযোগের জন্য নিম্নু-দর্চা-পদ্ম পর্যন্ত আরও একটি রাস্তা টানেল তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ৫ কিলোমিটার লম্বা এই টানেলটি শিংকুলা পাশ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হবে। এটি তৈরি হতে আরও তিন বছর সময় লাগবে বলেও সেনা সূত্রে জানান হয়েছে। এই টানেল তৈরি হলে সারা বছর লাদাখের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে আর কোনও সমস্যা হবে না বলেই দাবি করা হয়েছে সেনা বাহিনীর তরফে। শনিবারই খুলে দেওয়া হয়েছে দীর্ঘ প্রতিক্ষীত অটল টানেল। ৯ কিলোমিটারের বেশি লম্বা এই টানেলটি রোটাং থেকে লাহাল-স্ফিতি উপকত্যার দূরত্ব কমিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি শীতকালে প্রবল তুষারপাতের সময়ও এই রাস্তার মাধ্যমে যোগাযোগ রাখা যাবে লাদাখের সঙ্গে।