আর্তের সেবাতে নিজেকে নিয়োজিত করাই শিখদের পরম ধর্ম দশকের পর দশক এই কাজ করে আসছে শিখ সমাজ তাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা স্বর্ণমন্দিরের এমন মহান উদ্যোগ অতিমারির চোখ রাঙানিও যা থামিয়ে দিতে পারেনি


আর্তের সেবার পাশাপাশি দুঃস্থ মানুষেরা পাশে দাঁড়িয়ে এক অনন্য নজীর তৈরি করেছে স্বর্ণমন্দির। আর সেই সেবার কাজ যাতে আরও গিয়ে নিয়ে যেতে পারে তার জন্য স্বর্ণমন্দির কর্তৃপক্ষকে ফরেন কন্ট্রিবিউশন অ্যাক্টে অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রের মোদী সরকার। সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে তেমনই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, শ্রী দরবার সাহিব আমাদের শক্তি যোগায়। কয়েক দশক ধরে বিশ্বের নানা প্রান্তে দুঃস্থ মানুষের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে শ্রী দরবার সাহিব। শ্রী হরমিন্দর সাহিবকে এফসিআর অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর তার মূল উদ্দেশ্যই হল সেবার সংযোগকে আরও বাড়িয়ে তোলা। 

Scroll to load tweet…


স্বর্ণমন্দিরকে হরমন্দির সাহিব বা দরবার সাহিব বলেন পাঞ্জাবিরা। এটি শিখ ধর্মের প্রবিত্র তীর্থস্থান। শিখ গুরু রাম দাস পঞ্জাবের অমৃতসরে ধর্মীয় স্থানটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এখানেই রয়েছে গ্রন্থ সাহিব। স্বর্ণমন্দিরের সেবার কাজে অনুপ্রাণিত হয় বর্তমান শিখ সমাজের একাংশ সেবাই ধর্মের প্রধান হাতিয়ার বানিয়েছেন। লকডাউনের প্রথম পর্বে দিল্লি, চণ্ডীগড়়-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে অভিবাসী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের খাবার আর জল পরিবেশন করতে দেখা গেছে শিখ সমাজকে। মহামারির সময় নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাঁরে এগিয়ে এসেছিলেন আর্তের সেবায়। সেই সেবাকেই তাঁরা যাতে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন তার জন্য বিদেশি অনুমোদন গ্রহণের নির্দেশ দিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। 

Scroll to load tweet…

কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী।সোশ্যাল মিডিয়াতে তিনি বলেছেন, এফসিআরএ-র মাধ্যমে শ্রী দরবার সাহিবকে সেবার অনুমতি দেওয়ায় একটি বড় জয় শিখ সমাজের কাছে। ২৭ মে অনুরোধ জানান হয়েছিল। আর ৯ সেপ্টেম্বর অনুমোদন দেওয়া। ফরেন কন্ট্রিবিউশন অ্যাক্ট অনুযায়ী কোনও মানুষ বা সংস্থা বিদেশি সংস্থা বা ব্যাক্তির আতিথেয়তা বা অর্থ গ্রহণ করতে পারে। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির হাতে এই আইনের অনুমোদন থাকলে তবেই তারা বিদেশের অর্থে কাজ করতে পারে।