সংক্ষিপ্ত
ইস্তেহারটি আগে ৬ই ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রবিবার দেশের সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণের প্রতি শ্রদ্ধার চিহ্ন হিসাবে সেই কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছিল।
মঙ্গলবার লখনউতে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের (Uttar Pradesh Assembly elections) জন্য ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপির ইস্তেহার (Bharatiya Janata Party's manifesto) প্রকাশ করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Union home minister Amit Shah)। ইস্তেহারটি আগে ৬ই ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রবিবার দেশের সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণের প্রতি শ্রদ্ধার চিহ্ন হিসাবে সেই কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছিল। মঙ্গলবার বিজেপি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সহযোগিতা মন্ত্রী, অমিত শাহ বিজেপির 'লোক কল্যাণ সংকল্প পত্র' প্রকাশ করবেন ৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২-এ। উত্তরপ্রদেশের লখনউতে এই ইস্তেহার প্রকাশ অনুষ্ঠান হবে।
উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ হবে ১০ ফেব্রুয়ারি। ভারতীয় জনতা পার্টি (Bharatiya Janata Party), সমাজবাদী পার্টি (Samajwadi Party), বহুজন সমাজ পার্টি (Bahujan Samaj Party), কংগ্রেস (Congress), এএপি (AAP) এবং কয়েকটি ছোট দল রাজনৈতিকভাবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে ৪০৩টি আসনের জন্য লড়াইয়ে রয়েছে। উত্তর প্রদেশের বর্তমান বিধানসভার মেয়াদ ১৪ই মার্চ ২০২২-এ শেষ হবে।
উত্তরপ্রদেশে ইন্ডিয়া নিউজ ও জন কি বাত-এর সর্বেশেষ সমীক্ষা। ২২ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যের প্রায় ২০ হাজার মানুষের সঙ্গে কথা বলেই এই নির্বাচনী সমীক্ষা করা হয়েছিল। যার মধ্যে ১৮-৩৫ বছর বয়সী রয়েছে ৩০ শতাংশ। ৩৫-৪০ বছর বয়সী রয়েছে ৪৫ শতাংশ। ৪৫ উর্ধ্ব রয়েছে ২৫ শতাংশ। যাদের অধিকাংশই বিজেপির প্রতি আস্থা রেখেছেন। নির্বাচনী সমীক্ষায় স্পষ্ট এবারও উত্তর প্রদেশে কাজ করবে না প্রিয়াঙ্কা ম্যাজিক।
ইন্ডিয়া নিউজ ও জনকি বাতের নির্বাচনী সমীক্ষায় স্পষ্ট প্রিয়াঙ্কা গান্ধী কংগ্রেসকে নিয়ে যে স্বপ্ন দেখছিলেন তা ফলপ্রসূ হবে না। কার্যত এই রাজ্যে সবথেকে প্রথমে প্রচার শুরু করেছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। মহিলাদের টার্গেট করেছিলেন তিনি। কিন্তু তাতে তিনি সফল হবেন না বলেও ইঙ্গিত রয়েছে সমীক্ষায়। বিধানসভা নির্বাচনে ভোট প্রাপ্তির হারেও এগিয়ে রয়েছে বিজেপি।
রাজ্যের বিভিন্ন জাত-কেন্দ্রিক ছোট দলগুলি বিজেপি, এসপি এবং কংগ্রেসের মতো বড় দলগুলির জন্য মূল্যবান ভোট যুক্ত করবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই দলগুলি ভোটবাক্সে কয়েক হাজার ভোট প্রার্থীদের সম্ভাবনা তৈরি বা নষ্ট করতে পারে বলেই অনুমান। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে, বিভিন্ন দলের আটজন প্রার্থী এক হাজারেরও কম ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে বিজেপি উত্তরপ্রদেশে ৩৫ বছরের ঐতিহ্য ভেঙে দ্বিতীয় মেয়াদে ফিরে আসবে কিনা সেদিকেই সকলের দৃষ্টি রয়েছে। প্রায় সব জনমত সমীক্ষায় দলটিকে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২০১৭ সালে, বিজেপি, তার শরিকদের নিয়ে মোট ৪০৩টি আসনের মধ্যে ৩১২টি পেয়ে বিরোধী ভোটবাক্সে ধ্বস নামায়। ১৪ বছর পর ফের ক্ষমতায় আসে বিজেপি। ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ৪০ শতাংশ, এসপি এবং বিএসপি ২২% এবং কংগ্রেস ৬% ভোট পেয়েছে। অনেকেই ২০২২ সালের উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনকে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সেমিফাইনাল হিসেবে দেখছেন।