সংক্ষিপ্ত

 দাউদ ইব্রাহিম -সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ ।  জানা গিয়েছে, এই মামলার তদন্তের জন্য বিশেষ দল তৈরি করা হয়েছে।  যদিও ডি কোম্পানি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, এই সকল অভিযোগই মিথ্যা। ভারতীয় তদন্তকারী সংস্থা এই অভিযোগ প্রমাণ করতে পারবে না।

 

 দাউদ ইব্রাহিম (Dawood Ibrahim)-সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA)। উল্লেখ্য একাধিক সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ, ড্রাগ পাচার, অস্ত্রপ্রচার-সহ একাধিক অভিযোগে দাউদকে অনেক আগেই আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী বলে ঘোষণা করা হয়েছে। তবে  এফআইআর দায়েরের পর ফের শিরোণামে দাউদ ইব্রাহিম। জানা গিয়েছে, এই মামলার তদন্তের জন্য বিশেষ দল তৈরি করা হয়েছে।  যদিও ডি কোম্পানি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, এই সকল অভিযোগই মিথ্যা। ভারতীয় তদন্তকারী সংস্থা এই অভিযোগ প্রমাণ করতে পারবে না।

এআইএ কর্তৃক এফআইআর-এ বলা হয়েছে, জশ ই মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করছে দাউডের ডি কোম্পানি।এর পাশাপাশি এফআইআর-এ আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এই ঘোষ্ঠীর মধ্যে রয়েছে জামাত উদ দাওয়া, আলকায়দার মতো গোষ্ঠীও। এই সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করছে  দাউডের ডি কোম্পানি। সেখানে আরও বলা হয়েছে, ভারত ছেড়ে যাওয়ার পর দাউদ এইমুহূর্তে ছোটা শাকিল, জাভেদ চিকনা, ইকবাল মির্চিদের লোকাদের সাহায্যে তাঁর নেটওয়ার্ক চালাচ্ছেন। এনআইএ সূত্রে খবর, এরা ভারতের বিভিন্ন অংশে স্লিপিং সেল বা গোপনে পরিকল্পনা করছে। সেই পরিকল্পনার মধ্য়ে রয়েছে, বিভিন্ন বিখ্যাত ব্যাক্তিকে হামলার ছক। বিখ্যাত ব্যাক্তিদের মধ্যে রয়েছে রাজনীতিবিদ, সেলেব্রেটি, ব্যবসায়ী। এদের কার্যকলাপ দেশের সাম্প্রদায়িক হিংসাকে উসকে দিতে পারে বলে অনুমান  জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার।জানা গিয়েছে, এই মামলার তদন্তের জন্য বিশেষ দল তৈরি করা হয়েছে। এবং একজন ডেপুটি ইন্সেপক্টর জেনারেলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি একজন পুলিশ সুপার আধিকারিকেও রাখা হয়েছে। 

আরও পড়ুন, উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে সপার সমর্থনে হাজির মমতা, প্রচার শুরু আজ থেকেই

 অপরদিকে,  দাউদ ইব্রাহিম-সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি, ১৭,১৮, ২০, ২১ ধারা মামলায় রুজু করা হয়েছে। এছাড়া ইউপিএ-র ধারা ৪০ এও অভিযোগ রয়েছে। যদিও ডি কোম্পানি সূত্রে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, এই সকল অভিযোগই মিথ্যা। ভারতীয় তদন্তকারী সংস্থা এই অভিযোগ প্রমাণ করতে পারবে না। প্রসঙ্গত, ১৯৯৩ সালে একাধিক ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল ভারতের বাণিজ্য নগরী মুম্বই। সব মিলিয়ে ১৩ টি বিস্ফোরণে ২৫৭ জনের মৃত্য়ু হয়েছিল। ৭১৩ জন আহত হন। এই বিস্ফোরণের অভিযোগও দাউদ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধেই। বারবার দাউদকে ধরার চেষ্টা করেছে ভারত, কিন্তু প্রতিবেশি রাষ্ট্রে দাউদের আত্মগোপনে সে চেষ্টা ব্য়র্থ হয়েছে।