সংক্ষিপ্ত
- করোনা ভাইরাসের থাবায় জেরবার গোটা দেশ
- তারউপর নতুন আশঙ্কার কথা শোনাল আইসিএমআর
- চিন থেকে আসা আরও একটি ভাইরাস ছড়াতে পারে দেশে
- যা নিয়ে ইতিমধ্যেই গবেষণা শুরু করেছে বিজ্ঞানীরা
একে করোনা আতঙ্ক গ্রাস করেছে গোটা দেশকে। প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। তারউপর নতুন আশঙ্কার কথা শোনাল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ। চিন থেকে আসা আরও ভাইরাস ভারতে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আইসিএমআরের আধিকারিকরা। এই রোগজীবাণুটিকে "ক্যাট কুই ভাইরাস" (সিকিউভি) বলা হয়। কাউন্সিলের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি দ্বারা পরিচালিত একটি গবেষণা অনুসারে এটি আমাদের দেশে সহজেই ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যা জনসাধারণের জন্য বিভিন্ন স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
ক্যাট কুই ভাইরাস কুলেক্স মশা এবং শূকরে পাওয়া যায় এবং চীন ও ভিয়েতনামে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটির খবর পাওয়া গেছে। এই ভাইরাস মশাবাহিত। এবং তা কোনওভাবে মানুষের শরীরে পৌছলে ফিব্রিল ডিজিজ, মেনিনজাইটিস, এবং পেডিয়াট্রিক এনসেফালাইটিস এর মতো স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণ হতে পারে। যে সকল মশা এই রোগের ভাইরাস বহন করতে সক্ষম তা হল, এডিস এজিপ্টি, কুলেক্স কুইনকোফেসিয়্যাটাস এবং সিএক্স। আশঙ্কার বিষয় হল, কুলেক্স প্রজাতিপ মশাও ভারতে ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে এই রোগের প্রাদুর্ভাব ভারতে আসলে তা সহজেইব ছড়িয় পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিজ্ঞানীরা এই নিয়ে একটি গবেষণা চালিয়েছিলেন, কিন্তু মানব দেহের নমুনায় দেশে এখনও এই ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া যায়নি। তবে তারা ৮৮৩ টি মানব সিরামের নমুনার মধ্যে দুটিতে প্যাথোজেনের অ্যান্টিবডিগুলি আবিষ্কার করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। যা ইঙ্গিত দেয় যে ওই ব্যক্তিরা আগে কোনও সময় সিকিউভি সংক্রমণ থেকে উদ্ধার পেয়েছিল। গবেষকরা বলেছেন যে ভারতীয় জনগণের মধ্যে ক্যাট কুই ভাইরাসের সংক্রমণ সম্পর্কে আরও ভাল ধারণা পেতে এবং কার্যকর প্রতিক্রিয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের সিরামের নমুনা থেকে আরও বেশি ডেটা প্রয়োজন। ফলে করোনা হাত থেকে রেহাই পাওয়ার আগেই নতুন আতঙ্ক কড়া নাড়ছে বলাই চলে।