সংক্ষিপ্ত

পঞ্জাব পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর অমৃতপালকে আশ্রয় দিয়েছিলেন এক মহিলা। তদন্তে জানা গেছে, সেই রাতে অমৃতপালের সঙ্গে ছিলেন তাঁর এক সহযোগীও।

পলাতক খালিস্তানপন্থী নেতা অমৃতপাল সিং-এর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই একটি লুকআউট সার্কুলার নোটিস এবং জামিন অযোগ্য ওয়ারেন্ট জারি করেছে পঞ্জাব পুলিশ। ১৮ মার্চ পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে বাইকে করে পালিয়ে যাওয়ার পর নিজের ঘনিষ্ঠ সহযোগী পাপালপ্রীত সিং-এর সাথে রাতে এক মহিলার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন ‘ওয়ারিস পঞ্জাব দে’-র নেতা। তদন্ত করে পুলিশ জানতে পেরেছে যে, ওই মহিলার নাম বলজিৎ কৌর।

রবি ও সোমবার সেখানে কাটিয়ে সোমবার বিকেলে বলজিতের বাড়ি ছেড়ে ফের পালিয়ে যান অমৃতপাল সিং। সিসিটিভির নজরদারি এড়াতে তিনি ছাতা মাথায় দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন বলে বুঝতে পারে পুলিশ। ইতিমধ্যেই বলজিৎ কৌরকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। তদন্তে জানা গেছে, ওই মহিলা পাপালপ্রীত সিং-এর ঘনিষ্ঠ। কুরুক্ষেত্র জেলায় শাহবাদ টাউনের মারকান্দা এলাকার সিদ্ধার্থ কলোনিতে তাঁর বাড়ি। সিসিটিভি ফুটেজে অমৃতপালকে তাঁর বাড়িতে যেতে দেখার পরেই তাঁকে গ্রেফতার করে হরিয়ানার পুলিশ। তারপর তাঁকে পঞ্জাব পুলিশের হাতে হস্তান্তরিত করা হয়।

আরেকদিকে, পঞ্জাব পুলিশের ইন্সপেক্টর-জেনারেল সুখচাইন সিং গিল বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন যে, 'ওয়ারিস পাঞ্জাব দে'-এর প্রধান অমৃতপাল সিংয়ের বিষয়ে তাঁর নববিবাহিত স্ত্রী কিরণদীপ কৌর এবং তাঁর মা বলবিন্দর কৌরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে, তদন্তের স্বার্থে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে রাজি হননি। শুধু এটুকু জানিয়েছেন যে, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে এখনই বিশদে কিছু বলা যাবে না। তবে, সূত্র মারফৎ জানা গেছে যে, অমৃতপালের স্ত্রী কিরণদীপই তাঁকে বিদেশ থেকে আর্থিক সাহায্য পেতে সাহায্য করতেন, তিনি নিজেও বিয়ের আগে ব্রিটেনেই বসবাস করতেন। এও জানা গেছে যে, তিনি জঙ্গিগোষ্ঠী ‘বব্বর খালসা’-র সক্রিয় সদস্য ছিলেন। তদন্তকারীদের সন্দেহ, কিরণদীপও অমৃতপালকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছিলেন। কিন্তু, অমৃতপালের বাবা তারসেম সিং প্রথমেই মন্তব্য করেছিলেন যে, ১৮ মার্চ অমৃতপাল বাড়ি থেকে বেরোনোর আগেই তাকে গ্রেফতার করে নেওয়া উচিত ছিল। তারপরেও অমৃতপালের উদ্দেশ্যে তিনি মন্তব্য করেন, ‘এখনই আত্মসমর্পণ করে নেওয়া উচিত।’

বৃহস্পতিবার থেকে গোয়েন্দারা সন্দেহ করছেন যে, খালিস্তানপন্থী নেতা অমৃতপাল সিং পালিয়ে গিয়ে দেরাদুন, হরিদ্বার এবং উধমসিংহনগর জেলায় গা ঢাকা দিয়ে থাকতে পারে। ইতিমধ্যেই এবিষয়ে রাজ্যগুলির সীমান্তে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীকে সর্বদা প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিন জেলার সীমান্তসহ অন্যান্য এলাকায় চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। খালিস্তানপন্থীদের খুঁজে খুঁজে ইতিমধ্যে ২০৭ জনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে।

আরও পড়ুন-
অখিলেশ যাদব, নবীন পট্টনায়কের পর কুমারাস্বামীর সঙ্গে বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কতটা শক্তিশালী হবে তৃতীয় মোর্চা?
প্রেমিকের সামনেই প্রেমিকাকে গণধর্ষণ, মহারাষ্ট্রের পালঘরে ২৫ বছর বয়সী তরুণদের পৈশাচিক কাণ্ড

বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডল না থাকায় দায়িত্ব পড়বে কার হাতে? জরুরি বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়