সংক্ষিপ্ত
- নির্ভয়াকাণ্ডের আসামিরা একেকজন নরপিশাচ।
- তারপরেও নিশ্চিত মৃত্যুর সামনে দারুণ ভয়ে রয়েছে তারা।
- ফাঁসির জন্য মানসিকভাবে সুস্থ থাকাটা জরুরি।
- তার জন্য তাদের 'গরুড় পুরাণ' পড়ে শোনানোর আবেদন এল।
নির্ভয়া কাণ্ডের আসামিদের ফাঁসি পিছিয়ে গিয়েছে। কিন্তু, ফাঁসি হওয়াটা একেবারে নিশ্চিত। এবার তাদের ফাঁসির মুখোমুখি হতে 'মানসিকভাবে প্রস্তুত' করার জন্য মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামিকে 'গরুড় পুরাণ' পড়ে শোনানোর আবেদন এল। আবেদনটি করেছে 'রাষ্ট্রীয় যুবশক্তি' নামে উত্তরপ্রদেশের ইটা শহরের একটি এনজিও। এই বিষয়ে তারা তিহার জেল কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি চেয়েছে।
হিন্দুধর্মের ১৮ টি 'মহাপুরাণ'-এর মধ্যে অন্যতম এই 'গরুড় পুরাণ'। এতে 'কর্ম ', 'পরলোকের জীবন' এবং 'পুনর্জন্ম' সম্পর্কে বিশদে আলোচনা রয়েছে। অপরাধীদের এই পুরাণ মানসিক শান্তি দেবে এমনটাই মনে করা হচ্ছে। 'রাষ্ট্রীয় যুবশক্তি' এনজিও-টি প্রধানত কারাগারে বন্দিদের সংস্কারের লক্ষ্যে কাজ করে। এনজিও-টির চেয়ারপার্সন প্রদীপ রঘুনন্দন জানিয়েছেন, গত ১২ জানুয়ারি তারিখেই তিনি তিহার জেল কর্তৃপক্ষেরকাছে এই অনুমতি চেয়ে চিঠি পাছিয়েছেন। তবে এখনও তাদের তরফে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।
চিঠিতে রঘুনন্দন বলেছেন, 'দণ্ডপ্রাপ্তদের মন থেকে মৃত্যুভয় দূর করতে এবং তাদের মৃত্যুদণ্ডের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত করার জন্য 'গরুড় পুরান' পাঠ করে শোনানো উচিত। ভারতের ধর্ম ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য অনুসারে এর পাঠ এই ক্ষেত্রে অত্যন্ত দরকারী'। ইতিমধ্যেই এই মামলার অন্যতম আসামি বিনয় শর্মা পাঁসি এড়াতে তিহার জেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তারও আগে মামলার মূল অভিযুক্ত, রাম সিং তিহার জেলেই আত্মঘাতি হন।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দিল্লির এক আদালত নির্ভয়া গণধর্ষণ-হত্যা মামলায় চার আসামির ফাঁসি কার্যকর করার জন্য নতুন করে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছে। ২২ জানুয়ারি থেকে ফাঁসির দিন পিছিয়ে ১ ফেব্রুয়ারি হয়েছে। তার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছিলেন অন্যতম আসামি মুকেশ সিং। রাষ্ট্রপতি অবশ্য দ্রুত তার ,সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। এরপরই ওই নতুন দিন ঘোষণা করা হয়।