সংক্ষিপ্ত

মোদী সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম 'এক্স'-এ একটি পোস্টে বলেছেন শিল্প এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির অগ্রগতিতে এই পদক্ষেপ দুই দেশের মধ্যে সেমিকন্ডাক্টর সাপ্লাই চেন বাড়াতে সাহায্য করবে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বৃহস্পতিবার জাপান-ভারত সেমিকন্ডাক্টর সাপ্লাই চেন অংশীদারিত্বের বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন এই দুই দেশের মধ্যে সেমিকন্ডাক্টর সাপ্লাই চেনের অনুমোদনের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত 'দারুণ খবর'। তিনি আরও জানান যে এটি সেমিকন্ডাক্টর সাপ্লাই চেনকে শক্তিশালী করবে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগও পাওয়া যাবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন "কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্ত সেমিকন্ডাক্টর সেক্টরের জন্য দুর্দান্ত খবর"। মোদী সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম 'এক্স'-এ একটি পোস্টে বলেছেন শিল্প এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির অগ্রগতিতে এই পদক্ষেপ দুই দেশের মধ্যে সেমিকন্ডাক্টর সাপ্লাই চেন বাড়াতে সাহায্য করবে। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা জাপান-ভারত সেমিকন্ডাক্টর সাপ্লাই চেন পার্টনারশিপ সংক্রান্ত দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতামূলক পদক্ষেপের অনুমোদন দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী ২০২৩-২৪ রবি মরসুমের জন্য ফসফেট এবং পটাশ সারে ভর্তুকি হারের জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদনেরও প্রশংসা করেছেন। চলতি বছরের ১লা অক্টোবর থেকে আগামী বছরের ৩১শে মার্চ পর্যন্ত এটি প্রযোজ্য হবে। মোদী বলেন, "কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্ত কৃষকদের সাশ্রয়ী মূল্যে সার অ্যাক্সেস নিশ্চিত করবে।"

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুসারে, এই ভর্তুকি নাইট্রোজেনের জন্য প্রতি কেজি ৪৭ টাকা ২ পয়সা, ফসফরাসের জন্য প্রতি কেজি ২০ টাকা ৮২ পয়সা এবং পটাশের জন্য প্রতি কেজি ২ টাকা ৩৮ পয়সা হবে। এই ভর্তুকিতে ২২,৩০৩ কোটি টাকা খরচ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এরই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী উত্তরাখণ্ডের জামরানি বাঁধ বহুমুখী প্রকল্পকে প্রধানমন্ত্রী কৃষি সেচ যোজনা-দ্রুত সেচ সুবিধা কর্মসূচির অধীনে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিইএ) দেওয়া অনুমোদনের প্রশংসা করেছেন। এই সিদ্ধান্তে উত্তরাখণ্ড এবং উত্তরপ্রদেশের সমৃদ্ধি হবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

তিনি বলেন, "সিসিইএর এই সিদ্ধান্তের ফলে সেচ ব্যবস্থা শক্তিশালী হবে, জলবিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়বে এবং ১০ লাখের বেশি মানুষ বিশুদ্ধ পানীয় জল পাবে।" এই প্রকল্পটি সম্পূর্ণ করতে উত্তরাখণ্ডকে ১৫৫৭ কোটি টাকারও বেশি কেন্দ্রীয় সহায়তা অনুমোদন করা হয়েছে। ২৫৮৪ কোটি টাকারও বেশি আনুমানিক ব্যয় সহ এই প্রকল্পটি ২০২৮ সালের মার্চ মাসে শেষ হবে। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল উত্তরাখণ্ডের নৈনিতাল জেলার রামগঙ্গার উপনদী গোলার উপর জামরানি গ্রামের কাছে একটি বাঁধ নির্মাণ করা।