সংক্ষিপ্ত
- প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসস্থান থেকে সংসদের স্থান পরিবর্তন হতে চলেছে
- প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসস্থান রাইসিনা হিলের দক্ষিণে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা চলছে
- তবে এই বিষয়ে সরকার এখনও কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি
- আলোচনার পরেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে
দিল্লির সাংসদ ভবন থেকে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসস্থান নতুন করে সাজানোর পরিকল্পনা চলছে। সেই কারণে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি আবাসন পরিবর্তন করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। জানা গিয়েছে, নতুন করে সাজাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন লোককল্যান মার্গ থেকে রাইসিনা হিলের দক্ষিণে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে সেন্ট্রাল ভিস্তা। তবে কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। রাইসিনা হিলের দক্ষিণে ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের জন্য আরও চারটি জায়গা ভাবনা চিন্তার মধ্যে রাখা হয়েছে। তবে সব দিক চিন্তা ভাবনা করেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
আহমেদাবাদ ভিত্তিক স্থাপত্যসংস্থা এইচসিপি সংসদ তৈরির জন্য সেন্ট্রাল ভিস্তার পুনর্নিমাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর চূড়ান্ত পরিকল্পনা রদল বদল করার আবেদন করেছেন। নগরোন্নয় মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই ক্ষেত্রে অনেক মন্ত্রক, অনেক অফিসের স্থান বদল করা হবে। সেই বিষয়ে আমরা শুধু একটা প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। লোকসভার স্পিকার, সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের শীর্ষস্থানীয় আধিকারিকরা আলোচনা করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। নতুন সংসদ কোথায় হবে এই নিয়ে খুব শীঘ্রই একটা আলোচনা হবে। তিনি মন্তব্য করেছেন, জাতীয় গুরুত্বের কথা চিন্তাভাবনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এই স্থান পরিবর্তন করা হোক বা সংসদ, প্রধানমন্ত্রী আবাসন পুনর্নির্মাণ পদ্ধতি পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যাবে।
সূত্রের খবর, স্থাপত্য সংস্থাটি তাদের চূড়ান্ত নকশা দেওয়ার পরেই এই বিষয়ে আলোচনা শুরু হবে। তবে আহমেদাবাদের সংস্থাটা ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি স্থাপত্য সংস্থার কাছ থেকে নকশা চাওয়া হয়েছে। নকশার ওপর ভিত্তি করেই আলোচনা হবে। তার পরে এই কাজের জন্য উপযুক্ত সংস্থাকে বেছে নেওয়া হবে। জানা গিয়েছে তালকাটোরা স্টেডিয়ামের কাছে ২.৫ একর জমি ফাঁকা রয়েছে। অন্য দিকে আফ্রিকা অ্যাভিনিইউয়ের কাছে আট থেকে নয় একর জমি ফাঁকা রয়েছে। এছাড়াও দিল্লির বেশ কিছু অভিজাত এলাকায় কয়েকটি জমি ফাঁকা রয়েছে। তবে কোথায় কী প্রস্তুত হবে, তা সংস্থাগুলোর নক্সা ও আলোচনার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে।