সংক্ষিপ্ত

  • দেশে তৃতীয় দফার লকডাউন শেষ হচ্ছে ১৭ তারিখ
  • রাজধানীতে করোনা আক্রান্তের সংখায ৭ হাজার ছাড়িয়েছে
  • এই অবস্থাতেও দিল্লিকে আর অবরুদ্ধ রাখতে চান না কেজরি
  • লকডাউন তোলা নিয়ে রাজধানীর মানুষের কাছে পরামর্শ চাইলেন

দেশে করোনা আক্রান্ত রাজ্যগুলির মধ্যে প্রথম সারিতেই রয়েছে রাজধানী দিল্লি। আক্রান্তের সংখ্যা ৭,৬৩৯। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের শিকার হয়েছেন ৪০৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। ফলে রাজধানীতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছেন ৮৬। এই পরিস্থিতিতে রাজধানীকে আর অবরুদ্ধ করে রাখতে চাইছেন না মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল। দিল্লিতে লকডাউন উঠে যাক এমনটাই চাচ্ছেন আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো। করোনা সঙ্গে নিয়েই এবার দিল্লিবাসীকে বাঁচার পদ্ধতি শিখতে হবে বলে আগেই সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন কেজরি। এবার লকডাউন শিথিল করা নিয়ে একেবারে রাজধানীর মানুষের পরামর্শ চেয়ে বসলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। 

 

দেশে তৃতীয় দফার লকডাউন শেষ হচ্ছে ১৭ মে। লকডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে সোমবার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জানা যাচ্ছে বৈঠকে অধিকাংশ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাই লকডাউন চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন। তারপরেই মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণের কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তার আগেই দিল্লিবাসীর কাছে ১৭ মের পর কী করা উচিত তা নিয়ে পরামর্শ চেয়ে বসলেন কেজরিওয়াল। বুধবার বিকেল ৫টার মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপ, ই-মেইল অথবা এসএমএস করে রাজধানীর মানুষ দিল্লি সরকারকে লকডাউন নিয়ে তাঁদের পরামর্শ দিতে পারবেন বলে ঘোষণা করেছেন কেজরি।

 

গত মার্চে দেশে ক্রমে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় লকডাউনের পক্ষেই সওয়াল করেছিলেন কেজরি। এমনকি দ্বিতীয় দফায় দেশে মোদী লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় ট্যুইট করতেও দেখা যায় তাঁকে। কিন্তু লকডাউনের ফলে ক্রমেই আয় কমছে সরকারের। রাজস্ব বাবদ আয় তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এই অবস্থায় কন্টেইনমেন্ট জোন ছাড়া বাকি রাজধানীকেই উন্মত্ত করে দিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বিষয়টি সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকেও তোলেন কেজরি।