ভোট কুশলী হিসেবে আবারও সাফল্যের মুখ দেখলেন সুনীল কানুগোলু। কর্ণাটকের পর এবার তেলাঙ্গনায়। কর্ণাটকে সাফল্যের কয়েক মাসের মধ্যে এবারও সাফল্যের শীর্ষে তিনি। এবারও তাঁরই হাত ধরে কেসিআর-এর মত তুখড় আর পোড় খাওয়া রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে হারিয়ে দিল কংগ্রেস।
কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আরও শক্তিশালী হবে, নাকি, তাকে পিছিয়ে দিয়ে নতুন করে দিল্লির মসনদ দখল করে নেবে কংগ্রেস, তারই একঝলক মহড়া হতে চলেছে ৩ ডিসেম্বর, রবিবার, ৪ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের দিন। রবিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হবে ভোটগণনা। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ় ও তেলঙ্গানা – এই চার রাজ্যের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে, তার ওপরেই অনেকখানি নির্ভর করবে ২০২৪-এর নির্বাচনের ছবি।
ভোট কুশলী হিসেবে আবারও সাফল্যের মুখ দেখলেন সুনীল কানুগোলু। কর্ণাটকের পর এবার তেলাঙ্গনায়। কর্ণাটকে সাফল্যের কয়েক মাসের মধ্যে এবারও সাফল্যের শীর্ষে তিনি। এবারও তাঁরই হাত ধরে কেসিআর-এর মত তুখড় আর পোড় খাওয়া রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে হারিয়ে দিল কংগ্রেস।
আমরা মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ও রাজস্থানে জনতার রায় মাথাপেতে নিচ্ছি। আদর্শের লড়াই চলবে। তেলাঙ্গনার জনগণকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি পুরণ করব। দলের কর্মীদের আন্তরিক ধন্যবাদ।
চার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের প্রবণতা প্রমাণ করেছে যে তিনটি রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠন করতে চলেছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে এই নির্বাচনগুলিকে সেমিফাইনাল হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছিল। এমন পরিস্থিতিতে বিজেপির বৃদ্ধি স্পষ্ট করে দিয়েছে যে বিজেপি এখনও বিজয় রথে এগিয়ে চলেছে। মোদীর জাদু অটুট আছে এবং তার ম্যাজিক বুথফেরত সমীক্ষাগুলোকে মিথ্যে প্রমাণিত করে দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র বলেছেন মোদী ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানের ফলাফল ইঙ্গিত দেয় যে ভারতের জনগণ সুশাসন ও উন্নয়নের রাজনীতির সঙ্গে রয়েছেন। রাজ্যের জনগণকে অটল সমর্থন দেওযার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছে। পাশাপাশি দলের কর্মী ও নেতাদের কঠোর পরিশ্রমের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছে
সম্প্রতি দেশের চারটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হচ্ছে। যার মধ্যে তিনটিতে বিজেপির জয় প্রায় নিশ্চিত। অন্যদিকে দুটি রাজ্যে ক্ষমতা হারাতে চলছে কংগ্রেস। একটিতে ক্ষমতা দখলের পথে হাত। এই হিসেবে দেশের ১২টি রাজ্যের ক্ষমতা থাকতে পারে বিজেপির হাতে। কংগ্রেসের দখলে থাকবে মাত্র ৩টি রাজ্য
আজ চার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হচ্ছে। চলছে ভোট গণনা। কয়েক মাস যুদ্ধ পর্যায়ের প্রচারের পর ফলাফলের অপেক্ষায় রয়েছে গোটা দেশ। এই নির্বাচন ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের জন্য অ্যাসিড পরীক্ষাও বটে।
দুপুর ৩টা পর্যন্ত ৪টি রাজ্যের প্রাথমিক ফল
মধ্য প্রদেশ
বিজেপি- ১৬১
কংগ্রেস- ৬৭
অন্যান্য- ০২
রাজস্থান
বিজেপি- ১১৫
কংগ্রেস- ৬৯
অন্যান্য- ১৫
ছত্তিশগড়
বিজেপি- ৫৪
কংগ্রেস- ৩৩
অন্যান্য- ০৩
তেলেঙ্গানা
কংগ্রেস-৬৪
বিআরএস- ৪০
বিজেপি-৮
এআইএমআইএম-৬
অন্যান্য-০১
রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে জয় নিশ্চিত হতেই গেরুয়া শিবিরে খুশির হাওয়া। দলের মহিলা সমর্থক ও কর্মীদের আনন্দে জড়িয়ে ধরলেন শিবরাজ সিং চৌহানের স্ত্রী সাধনা চৌহান ।
মধ্যপ্রদেশে তিন-চতুর্থাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার দিকে এগোচ্ছে বিজেপি। এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে কে বসবেন? শিবরাজের জনপ্রিয়তা দেখে মনে হচ্ছে দল তাকেই মুকুট দেবে। তবে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বিশ্বাস করা হলে, দল তাকে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী করতে পারে। মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে এই মুখগুলো রয়েছে। ১. জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ২. নরেন্দ্র সিং তোমর, ৩. কৈলাশ বিজয়বর্গীয়
মধ্যপ্রদেশে বিজেপি ঝড়ের ইঙ্গিত এখন স্পষ্ট। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের সাথে দেখা করতে এসেছেন বলে সূত্রের খবর। এবার বিজেপি কোনও মুখ্যমন্ত্রীর মুখ ঘোষণা না করলেও ফলাফলের পর অনেকের নাম নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে এই রাজ্যে বিজেপির জয়ের কৃতিত্ব এখন শিবরাজ সিং চৌহানের জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের, বিশেষ করে লাডলি বেহান প্রকল্পকেই দেওয়া হচ্ছে।
তেলঙ্গানার বিধানসভা নির্বাচনে ভারত রাষ্ট্র সমিতির জয়ের হ্যাট্রিক হতে হতেও হাতছাড়া হয়ে যেতে চলেছে। রাজ্য নির্বাচনে ক্ষমতাসীন BRS আপাতত হতাশ। দলের প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাও বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনেই রয়েছেন। তবে, হু হু করে এগিয়ে যাচ্ছে কংগ্রেস।
বিজেপির এগিয়ে যাওয়ার খবর নিশ্চিতভাবে প্রকাশ্যে আসতেই উচ্ছ্বাস জমে উঠেছে গেরুয়া শিবিরে। কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে ৩৬টি আসনে। অন্যান্যরা পেয়েছে ২টি আসন।
ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানে বিজেপি এগিয়ে যেতেই মোদী-সমর্থকদের মধ্যে খুশির হাওয়া। উপির ডেপুটি সিএম এবং পার্টির নেতা কেশব প্রসাদ মৌর্য বললেন, “'কমল' ফুটে ওঠা মানে সুশাসন এবং উন্নয়নের গ্যারান্টি।”
১৫৫টি আসনে বিজেপির বিশাল লিড। নির্বাচন কমিশন ২৩০টি বিধানসভা আসনের ট্রেন্ড ঘোষণা করেছে। ভারতীয় জনতা পার্টি ২৩০টির মধ্যে ১৫৫টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। যেখানে কংগ্রেস ৭৩টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুসারে, বহুজন সমাজ পার্টি এবং ভারত আদিবাসী পার্টি একটি করে আসনে লিড পেয়েছে।
প্রথম দফার গণনার পর রাজস্থানে কংগ্রেসের দখলে ৪৬টি আসন। ৭১টিতে এগিয়ে রয়েছে গেরুয়া শিবির।
জয়ের খবর পেয়েই ভোপালে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের বাসভবনে পৌঁছেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিজেপি নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।
মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে কয়েকশো ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। একই সঙ্গে ঝালরাপাটন বিধানসভা আসনে প্রথম দফার ভোট গণনা শেষ হয়েছে। রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রবীণ বিজেপি নেত্রী বসুন্ধরা রাজে সাড়ে চার হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে রয়েছেন।
মধ্যপ্রদেশ নির্বাচনের ফলাফলের প্রাথমিক প্রবণতা অনুসারে, সকাল ১০টা পর্যন্ত বিজেপি ৩৭টি আসনে এগিয়ে রয়েছে।
২ দফার ভোটে ৭৬.৩১% ভোট পড়েছে ছত্তীসগঢ়ে। এই রাজ্যের ম্য়াজিক ফিগার ৪৬টি। সকাল ৮টা থেকে কঠিন নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে শুরু হয়েছে ভোট গণনার কাজ।