সংক্ষিপ্ত

  • কোটার পর রাজকোট
  • ফের শিশুমৃত্যুর ভয়াবহ পরিসংখ্যান এল সামনে
  • এই নিয়ে চূড়ান্ত অসংবেদনশিলতার পরিচয় দিলেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী
  • কোটার পাল্টা রাজকোট নিয়ে সরব হয়েছে কংগ্রেস

 

শিশু মৃত্য়ু নিয়েও শুরু বিজেপি-কংগ্রেস রাজনীতির টানাপোড়েন। রাজস্থানের কোটায় ডিসেম্বরের শুরু থেকে সরকারি হাসপাতালে মাত্রাতিরিক্ত হারে শিশু মৃত্য়ুর ঘটনা নিয়ে বেশ চাপে কংগ্রেস সরকার। এবার জানা গেল তার থেকেও খারাপ অবস্থা গুজরাতে। স্বয়ং মুখ্য়মন্ত্রী বিজয় রুপানির কেন্দ্র রাজকোটেই গত একবছরে অন্তত ১২৩৫ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গত ডিসেম্বরে ১৩৪। এই নিয়ে সরব হয়েছে কংগ্রেস।

সরকারি হিসেব অনুযায়ী ২০১৯ সালের জানুয়ারি (১২২), ফেব্রুয়ারি (১০৫), অগাস্ট (১০০), সেপ্টেম্বর (১১৮), অক্টোবর (১৩১), নভেম্বর (১১০), ডিসেম্বর (১৩৪) - সাতটি মাসেই শতাধিক শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে রাজকোটের সরকারি হাসপাতালে। সবচেয়ে হতাশাজনক হল, এই নিয়ে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি উত্তর না দিয়ে মুখ ঘুরিয়ে চলে যান।

এরপরই আসরে নেমেছে কংগ্রেস। এর আগে রাজস্থানের কোটা-য়, ডিসেম্বর মাসে ১০০ জন শিশুর মৃত্যু নিয়ে সরব হয়েছিল বিজেপি। যোগী আদিত্যনাথ সনিয়া গান্ধীর জবাবদিহি দাবি করেন। নতুন বছরেও এখনও পর্যন্ত ৪ দিনে ১০টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে কোটার জেকে লোন হাসপাতালে। এই ঘটনা নিয়ে দারুণ চাপে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট ও তাঁর দল। এইবার প্রধানমন্ত্রীর রাজ্যের এই তথ্য তুলে পাল্টা আক্রমণের পথে নামল কংগ্রেস।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এরপর হয়তো ডাক্তারদের দায়ী করা হবে। কিন্তু, বাস্তব ঘটনা হল, পরিকাঠামোর অভাব। স্পেশাল কেয়ার ইউনিট, হাসপাতালের কর্মীদের অসহযোগী মনোভাব থেকে শুরু করে সরকারের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য খাতে যথেষ্ট বাজেট বরাদ্দ না করার মতো বিষয়গুলির দিকে আঙুল তুলছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে রাজনীতি সরিয়ে গোরক্ষপুর, কোটা, রাজকোট-এর মতো জায়গায় এই শিশুমৃত্যুর ঘটনা কীভাবে মোকাবিলা করা যায় সেইদিকে নজর দেওয়া হোক, এটাই চাইছে সাধারণ মানুষ। ভারতে শিশু মৃত্যুর হার বাড়া নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন ইউনিসেফ-ও।