সংক্ষিপ্ত
অযোধ্যা রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখনও ভক্তের ঢল রাম মন্দির ও হনুমান গাড়ি মন্দিরে। মন্দির ট্রাস্ট ইতিমধ্যেই জানিয়েছে ঠিক কত ভক্ত এসেছেন রামলালা দর্শনে।
অযোধ্যা রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছে গত ২২ জানুয়ারি। মন্দিরের দরজা সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে গত ২৩ জানুয়ারি থেকে। তারপর থেকেই দেশে ও বিদেশের ভক্তরা অযোধ্যা আসছেন রামলালাকে দর্শনের জন্য। অযোধ্যা রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখনও ভক্তের ঢল রাম মন্দির ও হনুমান গাড়ি মন্দিরে। মন্দির ট্রাস্ট ইতিমধ্যেই জানিয়েছে ঠিক কত ভক্ত এসেছেন রামলালা দর্শনে। তাঁদের দেওয়া অনুদানের কথাও জানিয়েছে মন্দির কমিটি।
মন্দির ট্রাস্টের হিসেব-
২২ জানুয়ারি ৬ লক্ষ টাকা নগদ ২ লক্ষ টাকা চেক
২৩ জানুয়ারি ২৭ লক্ষ টাকা নগদ ২.৬২ লক্ষ টাকা চেক
২৪ জানুয়ারি ১৫ লক্ষ টাকা নগদ ১৫ লক্ষ টাকা চেক
২৫ জানুয়ারি ৪ লক্ষ টাকা নগদ ৪০ হাজার টাকা চেক
২৬ জানুয়ারি ৫.৫ লক্ষ টাকা নগদ ১ কোটি ৪ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা চেক
২৭ জানুয়ারি ৮ লক্ষ টাকা নগদ ১৩ লক্ষ টাকা চেক
২৮ জানুয়ারি ১২ লক্ষ টাকা নগদ ১২ লক্ষ টাকা চেক
২৯ জানুয়ারি ৫ লক্ষ টাকা নগদ ৭ লক্ষ টাকা চেক
শুধু টাকা নয়, ভক্তরা রাম লালাকে দান করেছে সোনা, রুপো ও হিরের গয়না। দান সামগ্রীতে রয়েছে দামি বাসনপত্র ও নানান জিনিস। মন্দিরে ৬টি দান কাউন্টার ও ৪টি দান বাক্স রয়েছে। প্রতিদিন গড়ে সেখানে তিন লক্ষ টাকা করে অনুদান জমা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে মন্দির কমিটি।
২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অযোধ্যা রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তবে সেই দিন সাধারণ ভক্তদের জন্য মন্দিরের দরজা ছিল বন্ধ। সেই দিন বিশিষ্ট অতিথিরা মন্দির পরিদর্শন করেন। তবে পরের দিন সাধারণের জন্য খুলে দেওযা হয় মন্দিরের দরজা। মন্দির কমিটির হিসেব অনুযায়ী প্রথম ৬ দিনে প্রায় ১৯ লক্ষ টাকা অনুদান জমা পড়েছে।
মঙ্গলবার থেকে অযোধ্যায় শুরু হয়েছে দর্শন। প্রথম দিনেই ভক্তরা প্রায় ৫ লক্ষ টাকা দান করেছেন। মন্দির কমিটির হিসেব অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৯ লক্ষ দর্শনার্থী মন্দির পরিদর্শন করেছেন। অন্যদিকে অযোধ্যায় এই ভক্তের সমাগমে ফুলেফেঁপে উঠছে উত্তর প্রদেশের কোষাগারও। সরকারি হিসেব বলছে প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা আয় হয়েছে অযোধ্যা রাম মন্দিরকে কেন্দ্র করে।