সংক্ষিপ্ত
- শনিবার অযোধ্যা মামার রায় ঘোষণা করেছে সুপ্রিম কোর্ট
- অযোধ্যার বিতর্কিত জমিটি হিন্দু পক্ষ পেলেও মুসলিম পক্ষকেও বিকল্প জমি দেওয়া হয়েছে
- এই রায়ে হিন্দু পক্ষের প্রধান আইনজীবী কে পরাশরনই মান্যতা পেয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে
- ৯২ বছরের এই আইনজীবী একটি যুক্তিতেই কিস্তিমাত করেছেন
শনিবার ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। দীর্ঘদিন ধরে চলা এই বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে অযোধ্যার বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমির পুরোটাই দেওয়া হয়েছে রামলালা বা শিশু রামকে। সেই সঙ্গে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড-কে অযোধ্যার কোনও একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ৫ একর জমি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মসজিদ গড়ার জন্য।
এই রায় নিয়ে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড পুরোপুরি খুশি না হলেও, সুপ্রিম কোর্টের এই রায় সব পক্ষের জন্যই গ্রহনীয় বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে মুসলিম পক্ষের আর কোনও অধিকার না থাকলেও অযোধ্যার জমির প্রায় দ্বিগুন জমি পাচ্ছে তারা। সেখানে বাবরির থেকেও বড় মসজিদ গড়া হবে বলে জানিয়েছে ওয়াকফ বোর্ড।
এই রায়ে হিন্দু পক্ষের প্রধান আইনজীবী কে পরাশরনের যুক্তিই মান্যতা পেল বলে মনে করে আইনজীবী মহল। ৯২ বছর বয়সেও শেষ দিন পর্যন্ত শুনানিতে হিন্দু পক্ষের আইনি লড়াইয়ের নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। এমনকী শেষদিন বিনা বিশ্রামে তিনি টানা ১১ ঘন্টা সওয়াল করেন।
শুনানির শুরুতেই তিনি সাফ জানিয়েছিলেন ৪৩৩ বছর আগে রামজন্মভূমিতে মসজিদ স্থাপন করেছিলেন মুঘল সম্রাট বাবর। দাবি করেন বাবর ঐতিহাসিক ভুল করেছিলেন, তার সংশোধন করতে হবে। তবে এই মামলায় পরাশরনের সবচেয়ে জোরালো যুক্তি ছিল, মুসলমানরা অন্য যে কোনও মসজিদেই নামাজ পড়তে পারেন। অযোধ্যাতেই ৫৫ থছেকে ৬০টি মসজিদ আছে। কিন্তু হিন্দুদের বিশ্বাস অনুযায়ী অযোধ্যার বিতর্কিত স্থানেই জন্মেছিলেন রাম। তাই হিন্দুদের কাছে মন্দির নির্মাণের জন্য বিতর্কিত জমিটির কোনও বিকল্প নেই।
শেষ পর্যন্ত এই যুক্তিটিই আদালত গ্রহণ করেছে, তা সুপ্রিম কোর্টের রায়েই স্পষ্ট।