সংক্ষিপ্ত
অযোধ্যার রাম মন্দির নির্মাণ কাজ ৭০ শতাংশই সারা। খুলে দেওয়া হবে আগামী বছর জানুয়ারি মাসে। গর্ভগৃহের ছবি শেয়ার করলেন মন্দির ট্রাস্টের সদস্য।
জোর কদমে চলছে অযোধ্যার রাম মন্দির নির্মাণের কাজ। কাজ চলছে গর্ভগৃহ নির্মাণেরও। সম্প্রতি নির্মাণ কাজের একটি নতুন ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার রকেছেন, রাম মন্দির ট্রাস্টের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য চম্পত রাই। তিনি বলেছেন, এটাই সেই গর্ভগৃহ, যেখানে অধিষ্ঠান করবেন শ্রী প্রভু রাম লালা। চম্পত রাই শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রের সাধারণ সম্পাদক। অন্যদিকে মন্দির ট্রাস্টের অপর সদস্য জানিয়েছেন নির্মাণ কাজ প্রায় ৭০ শতাংশই শেষের পথে। জানুয়ারিতেই ভক্তদের জন্য দরজা খুলে দেওয়া হতে পারে।
মন্দির ট্রাস্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য শ্রী মণিরাম দাস চাভানির মহন্ত কমল নয়ন দাস মন্দিরের দরজা ভক্তদের জন্য ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের ১৪-১৫ জানুয়ারি খুলে দেওয়া হবে পাবে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মুখপাত্র শরদ শর্মা জানিয়েছেন, ভক্তরা মন্দির ও প্রভু শ্রী রামলালাকে দর্শনের জন্য অধীর আগ্রহের সঙ্গে অপেক্ষা করছেন। বুধবারই ট্রাস্টের কোষাধক্ষ্য স্বামী গোবিন্দ দেব গিরি জাবিয়েছেন ২০২৪ সালের জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে ভক্তদের জন্য মন্দির দর্শনের ব্যবস্থা করা হবে।
তবে রাম মন্দিরের উদ্বোধনের জমকালো অনুষ্ঠান অবশ্যই ২০২৩ সালের শেষ দিক অর্থাৎ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে। তবে ২০২০ সালের মন্দির নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার পরে এই প্রথম রাম নবমী পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকার অযোধ্যাতেই রাম নবমী পালন করবে।
২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই ভক্তদের জন্য রাম মন্দিরের গর্ভগৃহ খুলে দেওয়া হবে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা এটাই হবে বিজেপির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে টানা তৃতীয় বারের জন্য নরেন্দ্র মোদীকে ক্ষমতায় ফেরানোর তুরুপের তাস। তবে রাম মন্দির নিয়ে বিজেপি যে এখনও যথেষ্ট সংবদনশীল তা একাধিকবার প্রকাশ্যে এসেছে। কারণ একাধিক বিজেপি নেতা সম্প্রতি রাম মন্দির নির্মাণের কাজ খতিয়ে দেখতে অযোধ্যা গেছেন। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও মন্দির নির্মাণের কাজ দেখতে ও মন্দির ট্রাস্টের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করতে একাধিকবার অযোধ্যা গেছেন বলেও সূত্রে খবর।
সূত্রের খবর ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অযোধ্যার রাম মন্দিরের দরজা সাধারণ ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হবে। তবে মন্দিরের নিচু তলার অর্ধেক কাজ সারা হয়ে গেছে। অগস্ট মাসের মধ্যে গর্ভগৃহের কাজও শেষ হবে বলেও আশা করছেন মন্দির ট্রাস্টের সদস্যরা। গর্ভগৃহের নিচে ১৭০টি স্তম্ভ থাকবে। মন্দির নির্মাণের জন্য বিশেষ শিলা আনা হয়েছে নেপাল থেকে। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কাও মন্দির নির্মাণের জন্য উপকরণ পাঠিয়েছে।
রাম মন্দিরের ভূমি পুজোর অনুষ্ঠান হয়েছিল বিশেষ ধুমধামের সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভূমি পুজোর অনুষ্ঠান করেছিলেন। করোনাকালেই হয়েছিল ভূমি পুজোর অনুষ্ঠান যা নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছিল বিরোধীরা। যাইহোক দেশের সব পবিত্র নদীর জল আর মাটি সংগ্রহ করে হিন্দু শাস্ত্র মেনেই হয়েছিল ভূমিপুজোর অনুষ্ঠান। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী মোদী-সহ বিজেপির শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্বের উপস্থিতি ছিল যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।