সংক্ষিপ্ত
গোটা বিশ্বে এখন আলোচনার বিষয় করোনাভাইরাস-এর সংক্রমণ।
ভারতেও এই রোগ পা রেখেছে।
এই আতঙ্কের মধ্যে হাসি ফোটালো আয়ুষ মন্ত্রক।
সংক্রমণ প্রতিরোধে কী উপদেশ দিল তারা?
গোটা বিশ্বে করোনাভাইরাস-এর সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। শুধুমাত্র চিনেই ১৩০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে, এবং প্রায় ৬০০০-এর বেশি মানুষ আক্রান্ত। বৃহস্পতিবারই ভারতে প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণের নির্দিষ্ট প্রমাণ মিলেছে। তবে ভারতীয়দের উদ্বেগটা একটু বেশিই। কারণ গোটা বিশ্বেই এই ভাইরাস প্রতিরোধে গবেষণা চললেও, বর্তমান ভারতে এই রোগের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে নাকে তিলের তেল দেওয়া ছাড়া উপায় নেই। অন্তত, কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রকের জারি করা এক উপদেশাবলী সেইরকমই বলছে।
মন্ত্রকের পক্ষ থেকে অবশ্য প্রথমেই স্বীকার করা হয়েছে এটি করোনভাইরাস সংক্রমণের চিকিত্সা নির্দেশিকা নয়। তবে সংক্রমণ যাতে না ঘটে তার জন্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার উপদেশ। ষড়ঙ্গা পনিয়া মিশিয়ে জলপান, অগস্ত্য হরিতকী খাওয়া, সমশমণি বটি, ত্রিকাটু গুঁড়ো এবং তুলসী পাতার কাথ পান, প্রতিদিন নাকের ফুটোয় দু'ফোঁটা করে তিলের তেল দেওয়ার মতো - পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
শুধু তাই নয়, কিছু সাধারণ হোমিওপ্যাথি ওষুধ ও ইউনানি ওষুধ ব্যবহারের পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। হোমিওপ্যাথি কাউন্সিল-এর বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা বোর্ডের বৈঠকের পর সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জার ওষুধ, আর্সেনিকাম অ্যালবাম ৩০ খেতে বলা হয়েছে করোনভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য। এছাড়া রোগের বিভিন্ন অস্বস্তি কাটাতে বেশ কয়েকটি ইউনানি ওষুধ খাওয়া ও মালিশ করার কথাও বলা হয়েছে।
এর পাশাপাশি আয়ুষ মন্ত্রক, বায়ুবাহিত রোগ সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য বিশ্ব জুড়ে প্রচলিত সাধারণত স্বাস্থ্যবিধি - যেমন ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা, প্রায়শই সাবান ও জল দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়া, ধোয়া হাত দিয়ে চোখ, নাক এবং মুখ স্পর্শ করা, অসুস্থ ব্যক্তিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সংযোগ এড়িয়ে চলা, কাশি বা হাঁচির সময় মুখ ঢেকে রাখা, এন৯৫ মুখোশ ব্যবহার করা ইত্যাদি।
নতুন ভাইরাসটির উৎস এবং এর সংক্রমণের বিষয়ে এখনও পুরো অন্ধকারে বিশেষজ্ঞরা। তারমধ্যে পরিমাণ এখনও অজানা। তবে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লুএইচও) বা হু-এর দাবি এখনও পর্যন্ত বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আক্রান্তদের অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়। সারস বা এমআরএস করোনাভাইরাস যেরকম মারাত্মক রূপ নিয়েছিল, অতটা খারাপ অবস্থা হয়তো হবে না। এই দূড়ান্ত উদ্বেগের পরিবেশে, কোনও সত্যিকারের গবেষণা না করে আয়ুষ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ফের একবার সিউডোসায়েন্টিফিক ওষুধকে বিকল্প ওষুধ হিসাবে প্রচার করার জন্য নেটিজেনরা মন্ত্রকের তীব্র সমালোচনা করেছেন।