সংক্ষিপ্ত
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের কথায় অগ্নি -৫ এর মাধ্যমে ভারতে বসেই চিনের মূল ভূখণ্ডে যেকোনও লক্ষ্য বস্তুতে আঘাত করা যাবে।
ভারতের প্রতিরক্ষাখাতে আরও একধাপ শক্তি বাড়িয়ে চিনকে কড়া বার্তা দিল। বুধবার অগ্নি-৫ (Agani-5) ব্যালাস্টিক মিসাইল (balllastic missile) উৎক্ষেপণে সফল হয়েছে ভারত। এদিন ওড়িশার আব্দুল কামাল দ্বীপ থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষামূলকভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়। এটি সারফেস টু সারফেস ব্যালাস্টিক মিসাইল যা ৫ হাজার কিলোমিটার দূরে যে কোনও লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের কথায় অগ্নি -৫ এর মাধ্যমে ভারতে বসেই চিনের মূল ভূখণ্ডে যেকোনও লক্ষ্য বস্তুতে আঘাত করা যাবে। চিন ছাড়াও ইউরোপ ও আফ্রিকার কিছু অংশে যে কোনও লক্ষ্যবস্তুকে টার্গেট করা যাবে। এটি ১.৫ টন পেলোড বহন করতে পারে। প্রায় ৫০ টন ওজনের।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর অগ্নি-৫ একটি শক্তিশাল ব্যালাস্টিক মিসাইল (ICBM) বিভাগে পড়ে। এদিন সন্ধ্যে ৭টা ৫০ মিনিটে এই মিলাইসের সফল উৎক্ষেপণ হয়। ক্ষপণাস্ত্রটি তিনটি পর্যায়ের কঠিন জ্বালানী ইঞ্জিন ব্যবহার করে। এটি অতি উচ্চমাত্রায় রীতিমত সক্ষম। নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করতে পারে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর অগ্নি-৫ পরীক্ষা ভারতের নূন্যতম প্রতিরোধ প্রতিরক্ষা নীতির সঙ্গে সম্পূর্ণ সঙ্গতিপূর্ণ। এটি 'প্রথম ব্যবহার না করার' প্রতিশ্রুত আগে থেকেই দিয়ে রেখেছে এই দেশ। তবে প্রয়োজনে এই মিসাইল ব্যবহার করতে যে ভারত পিছপা হবে না তাও বলেছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা। ক্ষেপণাস্ত্রটি সাবমেরিন থেকে ব্যবহার করা যাবে। পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের সঙ্গে ভারতের পারমাণবিক প্রতিরোধের ভিত্তি। তবে এর আগে এত বড় রেঞ্জের কোনও মিসাইল পরীক্ষা করেনি ভারত।
অগ্নি- ১-৫ প্রতিটা ক্ষেপণাস্ত্র ডিজাইন ও বিকাশ করেছে ডিফেন্স অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা ডিআরডিও। বর্তমানে অগ্নি -৫ ছাড়াও ভারতের অস্ত্রাগারে অগ্নি ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। যা ৭০০ কিলোমিটার দূরে লক্ষ্য বস্তুকে আঘাত করতে পারে। অগ্নি-১ ২০০০ কিলোমিটার পাল্লা। অগ্নি ২ ও অগ্নি ৩ ২৫০০ কিলোমিটার দূরে লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করতে পারে। অগ্নি ৪ ৩৫০০ কিলোমিটারের বেশি পরিসরে সক্রিয় থাকে।