সংক্ষিপ্ত
বাংলাদেশে সরকার বদল হওয়ার পরেও সেখানে প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ছে। মূল্যবৃদ্ধির কারণে সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়েছে বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিক।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখনও অস্থির। ভারত বিরোধিতা অব্যাহত। কিন্তু পেটের জ্বালা বড় জ্বালা! সেই পেটের জ্বালা মেটাতেই এবার আবার বিরোধী ভারতের কাছেই হাত পাতল বাংলাদেশ। এবারও বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জন্য ভারত থেকে খাবার পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রের মোদী সরকার। যদিও যে ভারত বিরোধিতার সুর মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার চড়িয়েছে তারপর ভারতের সাহায্য নিতে পিছপা হচ্ছে না সরকার। যদিও এটাই প্রথমবার নয়। এর আগেও একাধিকবার ভারত বাংলাদেশে খাবার পাঠিয়েছে।
বাংলাদেশে সরকার বদল হওয়ার পরেও সেখানে প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ছে। মূল্যবৃদ্ধির কারণে সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়েছে বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিক। পেটের ভাত যোগাড় করত কালঘাম ছুটে যাচ্ছে সেদেশের সাধারণ মানুষের। হুহু করে বেড়েছে নিত্য দিনের খাবার চালের দাম। বাংলাদেশের সাধারণ মানের চালের দাম ৬ টাকা থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এই অবস্থায় বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মুখে অন্ন যোগাতে নরেন্দ্র মোদী এই দেশ থেকে প্রায় ২৭ হাজার টন চাল পাঠিয়েছে। ইতিমধ্যেই যা পৌঁছেছে চট্টোগ্রাম বন্দরে। শনিবার বাংলাদেশের খাদ্য মন্ত্রকের জারি করা একটি বিবৃতি ভারতের থেকে চাল পাওয়ার কথা স্বীকার করেছে।
যদিও এর আগেই বাংলাদেশ ভারত পাঠিয়েছে ডিম, আলু পেঁয়াজের মত নিত্য প্রয়োজনীয় খাবার দ্রব্য। পাশাপাশি দুই দেশের মধ্য সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্যও বার্তা দিয়েছে ভারত সরকার। কিন্তু বাংলাদেশ এখনও ভারতের বিরুদ্ধে রণংদেহী মনোভাব নিয়েছে। বাংলাদেশ সরকারে পাশাপাশি সাধারণ মানুষও ভারত বিরোধিতায় সুর চড়াচ্ছে।
২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। তারপর থেকে বাংলাদেশে ক্রমশই বাড়ছে ভারত বিরোধিতার সুর। হাসিনা সেই সময় দেশ ছেড়ে ভারতে চলে আসেন। তারপর থেকেই বাংলাদেশে তৈরি হয়েছে অরজকতা। বাড়ছে সংখ্যালঘু ও হিন্দুদের ওপর নির্যাতন। এই অবস্থায় বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মুখে অন্ন তুলে দিতে ভারত আবারও চাল পাঠিয়ে সাহায্য করল প্রতিবেশী দেশকে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।