সংক্ষিপ্ত

বাটলা হাউস নিয়ে সস্তার রাজনীতি করা হয়েছে 
হাইকোর্ট জানিয়ে আরিজ খান দোষী 
এনকাউন্টারও ফেক নয় 
রবিশঙ্কর প্রসাদের নিশানায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 
 

সোমবার দিল্লির আদালত জানিয়েছে বাটলা হাউসের এনাকউন্টার ফেক ছিল না। একই সঙ্গে বাটলা হাউসে পুলিশ কর্মী মোহনচাঁদ শর্মাকে গুলি করে হত্যা হামলায় দোষী সাব্যস্ত করেছিল ইন্ডিয়ার মুজাহিদিনের সদস্য আরিজ খানকে। মঙ্গলবর সেই বাটলা হাউসের প্রসঙ্গ তুলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ চড়া সুরেই আক্রমণ করলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি বলেন এখনতো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেনে নেবেন, বাটলা হাউসের এনকাউন্টার ফেক ছিল না। 

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের নিশানায় ছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী ও সমাজবাদী পার্টি ও বিএসপিকেও। এনএনআই-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন বাটলা হাউসের এনকাউন্টার নিয়ে রাজনীতি করা হয়েছিল। ভোট রাজনীতির জন্য সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই দুর্বল হয়ে যাবে কেন বলেও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তাঁর কথায় বাটলা হাউসে ফেক এনকাউন্টার হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সনিয়া গান্ধী প্রসঙ্গে তিনি বলেন সমলম খুরশিদের কথা অনুযায়ী দুই সন্ত্রাসবাদী মারা গেছে শুনে সেই সময় চোখে জল এসেছিল কংগ্রেস নেত্রীর।  সেই প্রসঙ্গে টেনে এসে এদিন তিনি বলেন, ' আদালতের রায়ের পরে এবার নীবর রয়েছেন মমতাদিদি, কংগ্রেস নেতৃত্ব। এঁরাই একটা সময় বাটলা হাউসের এনকাউন্টার নিয়ে সন্দহ প্রকাশ করেছিলেন।' রবিশঙ্কর প্রসাদ আরও বলেন এমন স্পর্শকাতর ঘটনা নিয়ে যেভাবে সস্তা রাজনীতি করা হয়েছে কা কাম্য নয়। এইজাতীয় ঘটনার সঙ্গে দেশের নিরাপত্তাও জড়িয়ে থাকে ।  দিল্লির এই হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল পুলিশের মনোবল ভাঙতে, বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি। তিনি কিছুটা চড়া সুরেই বলেন যাঁরা সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন এবার কী তাঁরা ক্ষমা চাইবেন? 

ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াতের সুবিধে, নরেন্দ্র মোদীর হাতে খুলে গেল মৈত্র সে

করোনা-কালে ভারতের আকাশে সিঁদুরে মেঘ, বাল্য বিবাহ নিয়ে সতর্ক করল UNICEF ...

আরিজ খান বাটলা হাউস এনকাউন্টারের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল। সেখানেই পুলিশ আধিকারিক মোহনচাঁদ শর্মাকে গুলি করা হয়েছিল, পরবর্তীকালে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। দিল্লি পুলিশ দাবি করেছিল ২০০৮ সালে জামিয়ানগরে এনকাউন্টার চলাকালীন আরিজ ও তার সহকর্মী বাটলা হাউসে উপস্থিত হয়েছিল। কিন্তু পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে আরিজ খান পালাতে সক্ষম হয়েছিল।  এই বাটলা হাউস এনকাউন্টারেই নিহত হয়েছিল ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের নেতা ও অরাপেশন প্রধান অতিফ আমিন। আতিফ ভারতে বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসবাদী হামলার সঙ্গে জড়িয়ে ছিল। আরিজ খানের মাথার দাম ১০ লক্ষ টাকাও ঘোষণা করা হয়েছি। এনআইএ-এ আরিজ খানের কার্যকলার নিয়ে তদন্তে নেমেছিল। এনআইএ-র দাবি আরিজ হামলার ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাসবাদী নিয়োগ, সংগঠনের জন্য অর্থ জোগাড় সহ একাধিক বেআইনি কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল।