অনুষ্ঠান শেষে দেহরক্ষী বাহিনী নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে ফিরে গেলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ।
Beating Retreat Ceremony Highlights: বিটিং রিট্রিট অনুষ্ঠানের হাইলাইটস, দেখুন
শুক্রবার নয়াদিল্লির বিজয় চকে বিটিং রিট্রিট সেরিমনি (Beating Retreat Ceremony )। এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়েই ৭৩তম প্রজাতন্ত্র দিবসের (73rd Republic Day ) উদযাপন সমাপ্ত হচ্ছে।
- FB
- TW
- Linkdin
ড্রোন শো শেষ। হল জাতীয় সঙ্গীত। শেষ হল বিজয় চকের অনুষ্ঠান। সমাপ্তি ঘটল ৭৩ তম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপনের।
শুরু হল দেশীয় সংস্থা বটল্যান্ডের তৈরি ১০০০ ড্রোনের অভিনব শো।
আর্মি মিলিটারি ব্যান্ড বাজালো 'কেরালা'।
রাষ্ট্রপতির কাছে ব্যান্ড নিয়ে ফিরে যাওয়ার অনুমতি চাইলেন ব্যান্ড মাস্টার। রাষ্ট্রপতি অনুমতি দিলে পরে, সারে জাঁহা সে আচ্ছার সুরে ফিরে চলল সকল বাহিনীর ব্যান্ড।
বিউগলের সুরে সুরে নামিয়ে আনা হল জাতীয় পতাকা। সমাপ্ত হল বিটিং রিট্রিট-এর অনুষ্ঠান।
সকল ব্যান্ড একসঙ্গে বাজালো 'অ্যায় মেরে বতন কে লোগো'।
বিজয় চকে 'বিটিং দ্য রিট্রিট' অনুষ্ঠানে নৌবাহিনীর ব্যান্ড বাজালো গায়ে কাঁটা দেওযা 'যশস্বী'
বায়ুসেনার ব্যান্ড বাজালো 'লড়াকু - দ্য ফাইটার'এর সুর
সিএপিএফ বাজালো 'হাথোরি'র সুর
পাইও ও ড্রাম ব্যান্ড বাজালো বিখ্য়াত হেয় কাঞ্চার সুর -
রাষ্ট্রপতি ভবন ছেড়ে বিজয় চকে আসার মুহূর্তে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ।
ব্রিটেন, কানাডা, আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই বিটিং রিট্রিটের ঐতিহ্য পালিত হয়ে থাকে। ১৯৫০ সালে ভারতে প্রথমবার বিটিং রিট্রিট অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। দুটি প্রোগ্রাম ছিল - প্রথম কর্মসূচি ছিল দিল্লির রিগাল ময়দানের সামনে এবং দ্বিতীয়টি লাল কেল্লায়। ভারতে প্রজাতন্ত্র দিবসের শেষে সেনা, নৌসেনা, বায়ুসেনা, কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা শিবির গুটিয়ে ঘাঁটিতে ফিরে যাওয়াকে চিহ্নিত করতে এই অনুষ্ঠান করা হয়।
এবার পারফর্ম করা শুরু করল নৌসেনার ব্যান্ড।
বায়ুসেনার বাজনায় বিউগলের সুরে বেজে উঠল 'যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে'।
বায়ুসেনার ব্যান্ড বাজালো 'স্বদেশী'র সুর। মোট ১০০০ জন মিলে মোট ২৬টি সুর বাজাচ্ছেন।
এদিনের অনুষ্ঠানের মূল মঞ্চে কিন্তু নেই প্রধানমন্ত্রী মোদী। আছেন তিন বাহিনীর সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ। তাঁর পাশে বসে আছেন তিন বাহিনীর তিন প্রধান।
'বিটিং দ্য রিট্রিট'-এর একটি শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্য। ১৭ শতাব্দীতে ইংল্যান্ডে এর সূচনা হয়েছিল বলে জানা যায়। সেই সময় দিনের যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর সন্ধ্যায়, রাজা দ্বিতীয় জেমস তাঁর সৈন্যদের ড্রাম বাজাতে, পতাকা তুলতে এবং প্যারেড করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই থেকেই এই অনুষ্ঠানের সূচনা।
শুরুতেই 'বীর সৈনিক' সুর বাজালো ম্যাসড ব্যান্ড। তারপর বাজাল সিএপিএফ-এর পাইপস অ্যান্ড ড্রামস ব্যান্ড।
এদিনের অনুষ্ঠানের মুখ্য পরিতালক অর্থাৎ ব্যান্ড মাস্টার হলেন কমান্ডার চার্লস ডি'ক্রুজ।