সংক্ষিপ্ত
এই উৎসব উপলক্ষ্যে যেমন সেজে উঠেছে অযোধ্যা। তেমনই সেজে উঠেছে অযোধ্যার বোন জনকপুর। উৎসবে আমেদ থেকে বাদ যায়নি সীতার দেশ নেপালও।
আজ ২২ শে জানুয়ারি রামললালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা দিবস। প্রস্তুতি শুরু হয়েছে অনেক আগে থেকে। এই উৎসব উপলক্ষ্যে সেজে উঠেছে অযোধ্যা। তেমনই সেজে উঠেছে অযোধ্যার বোন জনকপুর। উৎসবে আমেদ থেকে বাদ যায়নি সীতার দেশ নেপালও।
শাস্ত্র মতে কিংবা রামায়ণে উল্লিখিত কাহিনি মতে, জনকপুরে রাজা জনকের কন্য ছিলেন সীতা। রাম জন্মভূমি অযোধ্যা আর সীতার জন্মস্থান জনকপুরের মধ্যে রয়েছে এক বিশেষ সেতুবন্ধন। আর সেই এই বিশেষ দিনে সেজে উঠল দুই শহরই।
সাধারণ অযোধ্যার বোন হিসেবে অধিকাংশ সম্বোধন করে থাকেন জনকপুরকে। সে কারণে এই বিশেষ দিনে জনকপুর যে সেজে উঠতে তা সকলেই আন্দাজ করেছিলেন। অযোধ্যার মতো সেজে উঠেছে জনকপুর। সেখানে প্রদীপ ও রঙিন আলোর খেলা সকলের নজরে পড়েছে। সেজে উঠেছে জানকি মন্দির।
এই প্রসঙ্গে জনকপুরের অধিবাসী ভরত কুমার শাহ বলেন, ২২ জানুয়ারি রামমন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান আমাদের মনে খুশির ঢেউ তুলেছে। নির্দিষ্ট দিনে আমরাও বেশ কিছু অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। আজ ভোর থেকে শুরু করে এই সকল অনুষ্ঠান গোটা দিন চলবে। রঙ্গোলিতে সেজে উঠেছে মন্দির। তেমনই ফুল দিয়ে সাজানো রয়েছে মন্দির। এই দিন সন্ধ্যাবেলা থেকে প্রত্যেক বাড়িতে জ্বালানো হবে মঙ্গল প্রদীপ। রামমন্দির নির্মাণ হওয়ায় জনকপুরবাসী বেশ আনন্দিত হলে জানান।
এদিকে জানা গিয়েছে, আগেই শ্বশুরবাড়ির তরফে পাঠানো হয়েছে অলঙ্কার, জামাকাপড়, মিষ্টি, বাসনপুত্র। ১৮ জানুয়ারি যাবতীয় উপহার নিয়ে জনকপুর থেকে যাত্রা শুরু হয়েছে। জনপুরধাম থেকে জলেশ্বরনাথ, মালংওয়া, সিমরৌংগড়, গাধিমাই, বীরগঞ্জ হয়ে ভারতে প্রবেশ করবে ওই যাত্রা। এরপর বেটিয়া, কুশিনগর, সিদ্ধার্থনগর, গোরখপুর হয়ে ২০ জানুয়ারি অযোধ্যায় এসে যাত্রা শেষ হয়েছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন
রাম মন্দির উদ্বোধন : ১০০৮ টি যজ্ঞ কুণ্ডে সম্পন্ন হল বিশেষ যজ্ঞ, কিন্তু কেন হল এই যজ্ঞ? দেখুন
উদ্বোধনের প্রহর গুনছে অযোধ্যা, প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগে সেজে উঠেছে রাম মন্দির