সংক্ষিপ্ত
Atul Subhash Suicide Case: ৩৪ বছর বয়সী অতুল সুভাষ, যিনি বেঙ্গালুরুতে থাকেন এবং কাজ করেন, সম্প্রতি আত্মহত্যা করেছেন। মৃত্যুর আগে, তিনি একটি ২৪ পৃষ্ঠার সুইসাইড নোট এবং এক ঘন্টারও বেশি সময়ের একটি ভিডিও রেকর্ডিং রেখে গেছেন। তিনি জানান, স্ত্রী নিকিতা সিংহানিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের অত্যাচারে তিনি আত্মহত্যা করতে চলেছেন।
অতুল তার সুইসাইড নোটে তার স্ত্রী নিকিতা সিংহানিয়াকে ৯টি মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ করেছেন। তিনি তার মামলার শুনানি সরাসরি সম্প্রচারের জন্য আদালতকে অনুরোধ করেছেন। তিনি আশা করেছিলেন যে এটি জনগণকে "বিচার ব্যবস্থার ভয়াবহ অবস্থা" দেখার সুযোগ দেবে।
অতুল সুভাষ তার সুইসাইড নোটে তার ১২ টি 'শেষ ইচ্ছা' প্রকাশ করেছেন।
১) আমার সমস্ত মামলার লাইভ শুনানি পান। আমার মামলার কথা দেশের মানুষের জানা উচিত। আইন ব্যবস্থার ভয়াবহ অবস্থা এবং নারী কর্তৃক আইনের অপব্যবহার সম্পর্কে জনগণকে সচেতন হতে হবে।
২) অনুগ্রহ করে আমার সুইসাইড নোট এবং ভিডিওকে আমার বক্তব্য এবং প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করুন।
৩) রীতা কৌশিক উত্তর প্রদেশের একজন বিচারক। আমি আশঙ্কা করছি যে সে নথিতে কারচুপি করতে পারে। সাক্ষীদের উপর চাপ দিতে পারে। আমি অনুরোধ করছি কর্ণাটকে মামলার বিচার হোক। তাকে বেঙ্গালুরুতে বিচার বিভাগীয় ও পুলিশ হেফাজতে রাখা উচিত।
৪) আমার সন্তানের হেফাজত আমার বাবা-মাকে দেওয়া উচিত।
৫). আমার স্ত্রী বা তার পরিবারকে আমার মৃতদেহের কাছে আসতে দেবেন না।
৬) আমার স্ত্রী, তার পরিবারের সদস্যরা এবং দুর্নীতিবাজ বিচারকের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আমার ছাই নিমজ্জন করবেন না। আদালত যদি রায় দেয় যে দুর্নীতিবাজ বিচারক, আমার স্ত্রী এবং অন্যান্য হয়রানিকারীরা দোষী নয় তাহলে আমার ছাই আদালতের বাইরে ড্রেনে ফেলে দিন।
৭) আমার অত্যাচারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া উচিত। আইনি ব্যবস্থায় আমার খুব একটা বিশ্বাস নেই। আমার স্ত্রীর মতো লোকদের জেলে না পাঠালে তাদের মনোবল আরো বেড়ে যাবে।
৮) বিচার বিভাগ জাগো। মিথ্যা বিষয়ে আমার বাবা-মা ও ভাইকে হয়রানি করা বন্ধ করার জন্য তাদের অনুরোধ করুন।
৯) এই দুষ্ট লোকদের সাথে কোন আলোচনা, আপস এবং মধ্যস্থতা করা উচিত নয়। তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।
১০) শাস্তি এড়াতে আমার স্ত্রীকে মামলা প্রত্যাহার করতে দেবেন না।
১১) সহানুভূতি পাওয়ার জন্য আমার স্ত্রী এখন আমার সন্তানকে আদালতে আনা শুরু করবে। তাকে এ নাটক করতে না দেওয়ার জন্য আদালতের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।
১২) যদি হয়রানি ও চাঁদাবাজি চলতে থাকে তবে আমার বৃদ্ধ বাবা-মায়ের উচিত আনুষ্ঠানিকভাবে আদালতের কাছে ইচ্ছামৃত্যু চাওয়া।